মাটির খাবার মাটিতেই মিশে
মানুষ কেবল পালক
জলের কথা বাতাসে ভাসে
আগুন শিশু বালক
মাটির খাবার মাটিতেই মিশে
মানুষ কেবল পালক
জলের কথা বাতাসে ভাসে
আগুন শিশু বালক
পাতাওয়ালা গাছের নিচে বসতে বসতে হঠাৎ গৌতম হওয়ার ইচ্ছা জাগলে ফুলদের বাড়ি যাবো— ফুলদের সাথে কথা হবে কতিপয় ফল নিয়ে। গাছের ছায়ায় পাখিমন ঘুমাতে চায় আল্পনা ছোঁয়ায়— সত্য প্রমান করতে গঙ্গা নদীতে যমুনার চাষ করতে হয় না— ইলিশ যাবে জনগনেরর পেটে।
কথা বলতে বলতে রাত বাড়বে। তারপরও কথা শেষ হবে না। ফতোয়া খতিয়ান দেখানো বন্ধ করে চলো মানুষের বাড়ি যাই একসঙ্গে। মানুষের কোনো ঘর নেই এখন— পাতাকে পছন্দ করে পাতামানব হয়ে বাস করছে গাছের নিচে নিচে। আদিকালের কথা ভুলে বর্তমান হয়ে চলো বাচতে শিখি— খুব সহজভাবে মেঘের পালকের মতো সুর লয় তাল নিয়ে।
যত কথা বলবে সহজ কথার মতো কোনো কথা নেই— যত চালাকি করবে সহজ চাওয়ার মতো কোনো চাওয়া নেই— সব কিছু নিভে যাবে— গুন্না করে নাক দিয়ে কথা বলে লাভ নেই প্রিয়— সূর্য উঠলে মোমবাতিতর্ক কারো কাজে আসবে না— ভোরের আলোতে রেখে যাওয়া পালক আর বালকের সুরে যেনো কোকিল গান করে।
কার কাছে সুর আছে? মানুষের কাছে? না পাখির কাছে? না বাতাসের কাছে? সুর আছে প্রেমে— সুর আছে কৃষ্ণ মোহাম্মদ আহাম্মদ গৌতমে— কালো জলে আরব ফুরাত গঙ্গা যমুনার জলভরা কার্নিশে। বৃষ্টির জলে ভেজা শরীর আলিফ লাম মীম। নিষাদ শিকারি প্রান নিলো কৃষ্ণ তোমার— জলের শরীরে জলের মৃত্যু।
ভালোবেসে দেখো আরোপিত পাথর মানুষের নরম হৃদয়ে জন্মাবে কাল মহাকাল অবিরাম অনিন্দ্য অবিনশ্বর দেহচারুতরু। ভালোবাসার ঘর নেই উদাস বাউল— সব কিছু আছে— সব কিছু নেই— বটবৃক্ষকে মাথার ছাতা মেনে শাপলা ফুলের জলেল হাওয়ায় মনের ঘরের নিরন্তর চাওয়া কোনো সুখ— ভালোবাসো অনিবার্য মৃত্যুর মতো— মেঘবালা আড়াল করে নিশ্চিত দেখা দিবে সূর্যমুখ— ভোর আসবে সুর নাচবে প্রেম বাচবে যুগের পর যুগ।
1
মৃত্যু এক পর্যটন নগরী, প্রাণী বাধ্যগত পর্যটক
2
মায়ের জাত এখনো ঘরকেই জয় করতে শিখেনি, আর বাইরে তো তুমুল বৃষ্টি
3
শিশুদের চোখ নিষ্পাপ নগরী, শিশুদের হাসি হৃদয়ের ঢেউ
4
প্রতিটি ভ্রমণ একটি জন্মের কথা বলে, প্রতিটি রমণ একটি ভ্রমণের কথা বলে
5
প্রেমিকা বানরকে পছন্দ করে, প্রেমিককে মনে করে খোপার বেলী ফুল
6
মানুষের হাসির নিচে থাকে স্বার্থ, কান্নার নিচে আমিত্ব
7
প্রত্যেক নারী সাবজেক্ট- ভার্ব-অবজেক্ট, প্রত্যেক পুরুষ অবজেক্ট-ভার্ব-সাবজেক্ট
০৮
রাত মানে অন্ধকার নয়— চোখের অসুখ
Night is not the collection of dark body; very limitation of the eye
০৯
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেমন করে যেন ঘরের ভেতরের কথা খুব সহজ করে বাইরে নিয়ে এসে ফুলেল গন্ধময় করে তুলেন, বাইরের কথা ঘরে নিয়ে এসে ভীষন সুন্দর পূজাঅর্ঘ প্রতিমা করে তুলেন
১০
আলোর খুব কাছে থাকে পোকামাকড়— আলো থেকে সহনশীল দূরে থাকি— কারন আমি মানুষ। আলোর খুবই কাছে থাকে অন্ধকার— আলো থেকে দূরে থাকি— কারন আমি অন্ধকারের একজন হতে চাই না।
11
আমেরিকা কোনো দেশ নয়, আমেরিকা এক আইডিয়ার নাম
12
রমনের সুখ বীর্যপাতের পর থেমে যায়, ভ্রমনের সুখ দিনে দিনে বেড়ে যায়
13
মানুষ তার স্বপ্নের চেয়ে অনেক বড়। কারণ মানুষ স্বপ্ন দেখে তার আবিষ্কৃত চিন্তাশক্তি দিয়ে। অথচ মানুষের অসীম চিন্তাশক্তি অনাবিষ্কৃত থেকে যায়।
একদিন মানুষ স্বপ দেখত পাখির মতো উড়ার। আজকে মানুষ পাখির চেয়ে গতিশীল উপায়ে উড়তে পারে।
মাছের মতো সাঁতার কাটার স্বপ্নও মানুষের ছিল। আজকে মানুষ মাছের চেয়েও দ্রুত উপায়ে সাঁতার কাটতে পারে।
আসলে মানুষ অসীম ক্ষমতাবান, পারিপার্শ্বিকতা মানুষকে ছোট করে রাখে।
১৪
মন একখান সোনালি গর্দভ
১৫
যারা বন্ধুত্বের জন্য স্বার্থলেভেল মেনটেইন করে তারা পাকা আম চিনে পাকা আমের গাছ চিনে না
১৬
আইডিয়াকে গুলি করলে গুলি আইডিয়া হয়ে যায়
১৭
সমাজ পরিবর্তনে অবশ্যই লেকচারের প্রয়োজন আছে, তবে লেকচার হতে হবে বাবার মতো— যিনি লেকচার দেন আবার সন্তানের স্কুলের বেতনও দেন
১৮
মাধ্যমিক সুখে কেটে যায় বাংলাদেশের দিন
19
শুধু টেলিভিশন না, আজকাল মানুষের আচরনও বিজ্ঞাপন দেখায়
20
প্রানের মানুষের সাথে থাকলে প্রান চার্জ হয়
21
অনেক সাপকে দেখেছি পাথরে ছোবল দিয়ে বিষদাঁত হারাতে
22
আকাশকে বলতে শুনেছিলাম তারও আকাশ আছে। হৃদয় আরেকটি হৃদয় প্রার্থনা করে। হৃদয়ের গভীরে কোনো হৃদয় নেই।
২৩
আপনার মুখের চেয়ে আপনার পা সুন্দর, আপনার পায়ের চেয়ে আপনার মন সুন্দর। কিন্তু। কিন্তু আমি পুরুষ, আমাকে আপনার অন্য কিছুর প্রসংশা করতে হবে নতুবা পুরুষ সংবিধানের অনেক অনুচ্ছেদ বাতিল বলে আদেশ জারি করতে হবে।
২৪
পায়ের সাথে সবুজ ঘাসের সরাসরি সম্পর্ক, পায়ের সাথে হাঁটা মানে গুরুত্বপূর্ন শক্তির সম্পর্ক। পাচাটা শিখুন, প্রকৃতি ও শক্তির সাথে থাকুন।
২৫
মাইলের পর মাইল দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে শরীরের ঘামে কয়েকটা নদী হওয়ার পর আমরা বুঝতে পারি হান্ড্রেড মাইল জিনিসটা ঘরের আঙিনাতেই ছিল।
২৬
রোদ কাদা বৃষ্টি অতিক্রম করে যারা স্কুলে যেতো তারাই স্কুল হয়ে ওঠেছে। তালা যেমন চাবি চায় তেমনি পৃথিবী আপনার কাছে চায় ডেডিকেশন। ডেডিকেশনের অভাবে অনেক মেধা প্রতিভা প্রজ্ঞা কবরের ঘাস হয়ে গ্যাছে, আর একমাত্র ডেডিকেশনের অবদানে অনেকে হয়ে গ্যাছে পাথরের ফুল।
২৭
তারা আমেরিকান মদ খেয়ে আমেরিকাকে গালি দেয়, তাও আবার আমেরিকা পরিচালিত ফেইসবুকে, কাজী নজরুল ইসলাম ভগবানের ( ইংরেজ) বুকে পদচিহ্ন এঁকে দেয় কিন্তু এই ভগবান তাঁকে কাগজ আর ছাপাখানার ব্যবস্থা করে দেয়। বাঙালি গালির সংস্কৃতি ভালো করেই তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে,। গালি দিয়ে মুখ চললেও, জাহাজ চলে না, জাহাজ চলতে তেল লাগে। আর তারা তেলের খবর ভালোই রাখে।
২৮
বন্ধুত্ব করার জন্য এক কাপ চা-ই যথেষ্ট, শত্রুতা করার জন্য এক কোটি টাকাও পর্যাপ্ত না
To be a friend a cup of tea is enough, to be done an enemy complex one crore money is so much little
২৯
প্রথাগত ভালো কাজ করা সহজ, প্রথাগত খারাপ কাজ করা কঠিন।
Being a social man is so easy but being a man is so difficult
৩০
ভালোবাসা ভালো মনের বাসা তৈরি করে। ভালোবাসা আছে বলেই বাবুই পাখির কাঁচা ঘর খাসা
Love helps making a good nest of mind. Only for love the nest of Babui is so appealing great
৩১
মানুষ হয়তো মিথ্যাবাদী কিন্তু ইশ্বর অপরাধী।
Man may be a liar but God is culprit
৩২
যারা দেখে কম তারা দেখায় বেশি, যারা দেখায় বেশি তারা নারী
One who watch a little shows a huge, a huge showing one is girl
৩৩
মানুষ সিনেমা দেখে না, সিনেমার চরিত্রে নিজেকে দেখে
Man busy on watching his own character over the cinema
৩৪
শিশুরা নেতা মানে না, শিশুরা বন্ধুত্বে বিশ্বাসী
Children does not believe on the leadership, children believe on the friendship.
৩৫
আমরা প্রতিটি কাজ অনেক ভালোভাবে শুরু করি। বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে অনেক ভালোভাবে।
মাঝখানে আমাদের বিরতি সত্যিই অনেক উৎসবমুখর।
আমরা কোনো কাজ শেষ করতে পারি না। আমাদের যেকোনো কাজ শেষ হয় অনেক নোংরাভাবে। বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে অনেক নোংরাভাবে।
অতীত অলসতা আমাদের বর্তমান তৈরি করে। ফলে অলস বর্তমান নিয়ে আমরা শক্তিশালী ভবিষ্যতে হাঁটতে পারি না।
We start our journey within energetic throw that is so much manipulative than others.
The intermission is offensive and festival something.
We can't watch the final round of the game. We have to back to the pavilion before the back of nodding.
Lazy past makes our present, lazy present is unable to trace the energetic pavement.
৩৬
কোনো ব্যক্তি যখন জানবে আপনি তার চেয়ে দুর্বল ব্যক্তি তখন আপনাকে খেলনা বানিয়ে আনন্দ খেলবে, ব্যক্তি যখন জানবে আপনি তার চেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি তখন আপনাকে পূজা দিবে এবং আপনার নামে প্রসাদের বানিজ্য করবে, কোনো ব্যক্তি যখন জানবে আপনি ক্ষমতায় প্রায় তার সমান ব্যক্তি তখন আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে
৩৭
যার ডাকে সাত কোটি মানুষ জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলেন তাঁর জানাযায় সাত জন সাহসী মানুষ পাওয়া যায়নি
৩৮
একজনকে কল করতে হয় অন্যজনকে রিসিভ করতে হয়— তাহলে কথোপকথন সম্ভব— দুজনই রিসিভ করলে কিংবা কল করলে মোবাইল তাদের কথোপকথনের ব্যবস্থা করে দেয় না।
যন্ত্র নিয়ম বুঝে হৃদয় বুঝে না
৩৯
অহংকারের কাছ থেকে শিখেছি পতনের সুখ, পতনের সুখ কনডমছেঁড়া আর্তনাতের মতো আনন্দে আনন্দে নিখোঁজ
৪০
কোনো কারন ছাড়া মানুষ মানুষকে ভালোবাসতে পারে, কোনো কারন ছাড়া মানুষ মানুষকে ঘৃনা করতে পারে। মানুষ ভালোবাসা ও ঘৃনা দিয়ে তৈরি।
৪১
সৃষ্টির আচরন তার স্রষ্টার মতন
৪২
হৃদয়দায় হৃদয় দিয়ে মোচন করতে হয়, সংসারের দায় সমাজ দিয়ে
৪৩
বিপ্লবীরা প্রেমে পড়লে হিজড়া হয়ে যায়
৪৪
ইতর প্রানি ঘন ঘন প্রসব করে—বাংলাদেশে ইতর প্রানির সংখ্যা কম— মানুষের সংখ্যা বেশি
৪৫
একটা দেশকে নির্মান করতে দশজন মানুষ লাগে— দশটা দেশকে নির্মান করতে প্রয়োজন একজন মানুষ
৪৬
প্রিয় মানুষ মরে গিয়ে গন্ধ হয়ে যায় যাকে আমরা দেখতে পাই না কিন্তু অনুভব করি
৪৭
আজকাল কথাকে কোনো এক নির্জন দ্বীপের রাখাল মনে হয়
৪৮
সবজি-মশলা-আগুন আলাদা থাকলে তরকারি হয় না— প্রভু আর বান্দা আলাদা থাকলে প্রেম হয় না
৪৯
মেঘ নাই এমন আকাশ তো দেখি না
৫০
প্রত্যেকটা পরিবার থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়—বালিশ জানে না— দুই জন জানে
সকালে। খুব সকালে। গ্রাম এলাকায় যারে বলে বিননালা। বিননালা মানে সূর্য দেখা যায়নি পুব আকাশে এমন সময়। দেখবেন আপনার জমি আর আপনার নাই।আপনার বাড়ি আর আপনার নাই। আপনার পরমা সুন্দরী রূপকথার মতো গুনবতী বউ আর আপনার খতিয়ানে নাই।ছাগল স্নান করতে যাবে সাগরে। পাহাড়ে আশ্রয় নিবে কবুতরের ডানা। মানুষ হয়ে পড়বে বৃষ্টির মতো পতনমুখী টুপটাপ টাপুর টুপুর ঝনঝন পনপন।
এই রাত শেষ রাত
এই কথা শেষ কথা নয়
নিজেকে দিনে দিনে বিক্রি করে যে গাড়িটা ক্রয় করলেন, যে গাড়িটা ক্রয় করলেন মানুষের মাংস বিক্রি করে, যে রেস্তোরা ঝিকমিক করে তুললেন আপনার আপন স্ত্রীর স্তন বিক্রি করে, মানুষের রক্তের কার্পেটে আপনি যে বিলাসবহুল প্রাসাদ দালাল গড়ে তুললেন— একদিন সন্ধ্যায় দেখবেন তা আর আপনার নাই— নাই আর চেয়ারম্যানগিরি ফলানোর অতি উচ্চ জমিদারি দম্ভী দামদর— বাতাসের দানার মতো উড়ে যাবে সব, সব উড়ে যাবে।
এই রাত শেষ রাত
এই কথা শেষ কথা নয়
হলুদ আলোর নিচে চাপা পড়বে লাল আলো, লাল আলোর নিচে চাপা পড়বে সবুজ আলো, চারদিকে হঠাৎ যেনো নদীর জলের উদ্দাম মাতলামি। সাগরের জল মানুষের আবাসভূমি পাতাপড়া গল্পের মতো নিয়ে যাবে তার ক্ষুধার্ত মুখে। মানুষের চোখ থাকবে না কান্নার জন্যে— অনুভূতি দিয়ে তারা উপলব্ধি করবে কষ্টের বিষাদের ফাপর।
এই রাত শেষ রাত
এই কথা শেষ কথা নয়
আমপাতাকে গিলে খাবে জামপাতা, বড় মাছকে গিলে খাবে ছোট মাছ,বনের সব বাঘসিংহ হরিনের পায়ের কাছে এসে বসে থাকবে বিগত অপরাধ মার্জনার জন্যে, অপরাধীর মস্তিষ্কে নেমে আসবে সূর্যের অগ্নিসেল,দাউ দাউ করে জ্বলবে শীতের আগুন,গরীব হাজার বছরের কান্না ভুলে আনন্দ মিছিলে আনন্দ বৃষ্টির জন্যে প্রার্থনা করবে নিজের আন্তরিক আত্মার কাছে, আত্মাঘরে বসে থাকবে প্রভু— ধ্যানচোখে দেখতে থাকবে মানুষের চলমান মহাকর্ষ মহাকাল।
এই রাত শেষ রাত
এই কথা শেষ কথা নয়
গল্পটি আম্মার কাছ থেকে শোনা। আম্মা শুনেছে তার আম্মার কাছ থেকে— এক মহিলার তিন বিয়ে হয়েছে। তার প্রতিটি বিয়ে ভেঙে যাওয়ার একটিই কারন— স্বামী যখনই রাগ করে মহিলাকে 'তুই' বলে সে আর স্বামী-সংসার করে না। চতুর্থ বিয়ের সময় মহিলার পরিবার থেকে স্বামীকে সর্তক করে দেয়া হয়েছে যাতে ভুলেও মহিলাকে 'তুই' না বলে।
স্বামী জমিতে কামলা নিয়ে যায়। বউকে রান্না করার জন্যে বলে যায়। কিন্তু বউ রান্না করে নাই। নাস্তা করতে এসে স্বামী তো প্রচন্ড রেগে যায়। গ্রামীন স্বামী বউকে গালি দিতে হবে— তবে 'তুই' বলা যাবে না। এখন? গ্রামীন স্বামী এবার বউকে গালি দিচ্ছে এইভাবে—
চুতমারানি তুমি
খেতে গেছে মুনি
ভাত নানছ না কেরে তুমি
কামলা লইয়া হামু কি আমি
মানুষ দিয়ে মানুষ গড়া
শব্দে যেমন কবিছড়া
দেহ জানে জলের ধারা
বাতাস অচল তুমি ছাড়া
কোথায় তুমি
কেমন আছো
কে হাসো
কে ভাসো
কে নাচো খোশমেজাজে
দেহসুরে তুমি বাজে
চিনতে বলো তোমার সাজে
চেনার পরেও দাওনা ধরা
মানুষ দিয়ে মানুষ গড়া
তুমি প্রিয় দূরের তারা
— আপনি এতো সম্পত্তির মালিক হলেন কেমন করে— বলতে চাচ্ছি কেবলই আপনার পরিশ্রম ধৈর্য আর ভবিষ্যৎ দেখার ক্ষমতায় আজকে আপনি এতো টাকার মালিক!?
— ভাই কী যে বলেন, বনের রাজা সিংহ— গাধা না, আমার মায়ের দোয়ার বরকতে আজ আপনারা আমাকে টাকাওয়ালা বলছেন।
— আচ্ছা আচ্ছা, আমাদের বুঝতে একটু ভুল হয়েছে। একটা বিষয় বলুন তো আপনি যে দুর্নীতি করেন, ঘুষখোর বলে লোকে আপনাকে, সরকারি কর ফাকি দেন,অন্যের সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন তা কি আপনার মায়ের দোয়ারই বরকত!?
টাকাওয়ালা এবার মুখ হা করে চোখ বড় করে আমার দিকে তাকালেন— তার হা করা মুখ দিয়ে তার মায়ের দোয়া নিশ্চয়ই মাছি হয়ে ঢুকে গ্যাছে
সমাজ পরিবর্তনে অবশ্যই লেকচারের প্রয়োজন আছে, তবে লেকচার হতে হবে বাবার মতো— যিনি লেকচার দেন আবার সন্তানের স্কুলের বেতনও দেন