গুলশান বনানী যেখানে গাছ থেকে শুরু করে টাস পর্যন্ত বিদেশী ফ্লেবার গতরে মেখে বাংলাদেশ হয়ে যাচ্ছে সেখানে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ব্যতিক্রম। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জন্মকাল থেকে আসি আমি তার গতরে ধীরলয়ে গর্জে উঠা আধুনিকা দেখতে। ভালো লাগে। খুব ভালো লাগে আমার।এখানে ছইগাছ থেকে শুরু করে কলাগাছও আধুনিকহারে বিদ্যমান। ভবিষ্যতে থাকবে কিনা অনিশ্চিত। এই এলাকার সবচেয়ে মজার দিক গ্রামীন ফ্লেবার। অর্থাৎ নেচারের আধিপত্য। নির্জনতা এখানে রয়েছে। রয়েছে পরিকল্পনা। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নগরী যেখানে পরিকল্পনাহীনভাবে গড়ে উঠছে আকাশকে ছিদ্র করে সেখানে এই এলাকার পরিকল্পনানীতি মুগ্ধ হওয়ার মতো। তবে এই এলাকার প্রত্যেকটি ইট বালু কংক্রিটের সাথে কতোটা দীর্ঘশ্বাস কতোটা গরীব লোকের চোখের জল মিশে আছে তা অবশ্যই সময় বিচার করবে।
বাবা রাফির দোকানে কফি খেলাম।দোকানই বললাম। কারন দুইপাশে রাস্তা মাঝখানে তার অবস্থান। গ্রামের ছেলে আমি।গ্রামে রাস্তার পাশে যা থাকে তা দোকান হিসাবে পরিচিত। গ্রামে যা দোকান শহরে তাই রেস্টুরেন্ট।অবশ্যই রেস্টুরেন্ট আর দোকানের মধ্যে চরিত্রগত পার্থক্য রয়েছে, শহরে আর গ্রামের মেয়ের মধ্যে যেমন পার্থক্য থাকে।
'বাবা রাফি' নামটির মধ্যে একখান সাপলুডু মজা আছে। রাফির বাবা না রাফিই বাবা এই নিয়ে শিশুতোষ ঝগড়া করাই যায়।তবে নামটির মধ্যে রাফিকে বাবা বলতেই হবে। তবে এটি একটি আন্তর্জাতিক খাদ্যসিল্ক।
বড় হয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার চেয়েও সুন্দর একটি নগরী গড়ে তুলবো। সেই নগরীতে রাজ্যের সুনাগরিক বসবাস করবে। শুধু টাকা থাকলেই সেই নগরীতে বসবাস করতে পারবে না কেউ।সেই নগরীতে বসবাস করতে হলে রাষ্ট্রের সুযোগ্য নাগরিক হতে হবে। সেই নগরীর ভিআইপি নাগরিক হবে শিক্ষক কবি সাহিত্যের পার্টনার পেট্রোন শিল্পী আর্টিস্ট। সেই নগরী হবে দেশী গাছ আর কালেক্টিভ কালচারের বস্তু মন মননের প্রাত্যহিক প্রয়োজনের আয়োজন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন