বুধবার, ২০ মার্চ, ২০১৯

আমাদের অভ্যাস গ্রামের বাড়ি যাবে

বাঁশপাতার চোখ বলতে আপনারা কী বুঝবেন আমি জানি না। আমি জানি কাল ভোর ফুটবে। ঠিক কাল নয়। আজই। একটু পরেই অন্ধকার চলে যাবে গ্রামের বাড়ি। মসজিদে মসজিদে আযান হবে একটু পরেই।লাল আর অসম বিরোধ জলের সাথে যাচ্ছে জীবন যাচ্ছে সময়।

বাঘচোখ বলতে আমরা নদীর গর্জন বুঝি। আমরা বলতে যারা বাঘের মাংস খেতে অভ্যস্ত হয়নি তারা।আমরা বলতে যারা এখনো বাঘের খাবার হয়নি তারা। তারপর হাওয়া আর পলাশের প্রান্তর। একটা লাল রং গিলে খায় সবুজ প্রান্তিক জোন। গলার শীত কমে গেলে ডিসটোপিয়া বন্যা আমাদের গ্রামে বেড়াতে আসে। বেড়ানো তার অভ্যাস। পুরাতন সাইকেল আর টিউবওয়েল পড়ে থাকে ইটের চমকচিত্রে। ইউটোপিয়ান আগামী কল্যানী কর্মকারকে পূজা দিতে আসে রোজ। আমাদের বর্ষাকাল।

‘আমরা কিংবা আমাদের’ বলতে যা বুঝি সেখানেও থাকে বিন্দু বিন্দু বিভেদের দেয়াল। মানুষ তার দেয়াল ভাঙে না। মানুষ তার প্রতিবেশীর দেয়াল ভাঙে। মানুষ প্রায়ই নিজের কাছে নিজে প্রতিবেশী হয়ে ওঠে। সকালের কিংবা ভোরের স্বপ্ন দেখা মন্দ কিছু নয় নিশ্চয়। তারপরেও রাত জেগে জেগে ভোর লালন করে কয়জন!? ক্লান্তিতে নুয়ে পড়া আমলকি চারা জানে বেদনার রং কেন নীল। ভালো বাসতে বাসতে প্রেমিক হয়ে ওঠতে অনেকটা পথ হাঁটা লাগে। সকালকে প্রশ্ন করো। সে মানে সকাল ঠিকই বলে দিবে কেমন তমসা রোদনীল থাকে তার রাত জীবন।

রাত থেকে একটা দিন
একটা দিন থেকে একটা রাত
মানুষ বলবে অন্য কথা

মানুষ অন্য কথা ভিন্ন কথা বলতে পারে বলেই সে মানুষ। মানুষের চোখ আছে বলে মানুষ দেখে না, মানুষ দেখে বলে মানুষের চোখ আছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন