আমাদের বাড়িতে একটি আম গাছ আছে। মিষ্টি মধুর আম গাছ। আম্মা বলে আম গাছটি তিনি রোপণ করেছেন। আমি বলি রোপণ করেছি আমি। মিষ্টি আম বলে কথা। টক আম হলে দায় নেয়ার পক্ষে এমন মিষ্টি মধুর তর্ক হতো না। যাক, একটি মিষ্টি মধুর আম গাছ আছে এটাই সত্য। সারা বছর আম গাছটি নিয়ে আমাদের কোনো হুল্লোড় থাকে না। জ্যৈষ্ঠ মাস আসতে না আসতেই শুরু হয় আম গাছটি নিয়ে হুল্লোড়। প্রায় দেড় মাস আমাদের রাত আর দিন একই রকম। ফল মাস বলে কথা। গাছ থেকে আম পড়লো যেনো, গাছ থেকে পড়বে যেনো আম— এই বলে বলে আমাদের বাড়ে ব্যস্ততা— আবার কমে তাড়াহুড়ো হালকা হালকা!
প্রিয়
তুমি আমাদের প্রিয় আম গাছটির মতো জ্যৈষ্ঠ মাস হতে পারো না!?
যখন কাঠফাটা রোদে কাশফুল ঘাসফড়িং সব অস্থির হয়ে উঠে তখন পৃথিবীতে নামে শ্রাবণ মাস— নদীতে জল কানায় কানায়।সবাই ফিরে পায় প্রানের স্বস্তি।
প্রিয়
তুমি গরমের দিনে শ্রাবণ মাস হতে পারো না!?
বনে রাতে বেড়াতে গিয়ে দেখি পাতার ফাকে চাঁদ উঠেছে ভরা শরীরের সাজানো জোছনায়। চোখে ভরে উঠে থইথই জোছনায়— জোছনাপরী নামে চোখে নৃত্য করে পালাক্রমে।
প্রিয়
তুমি বনের ঐ পাতার ফাকের জোছনাপরী হতে পারো না!?
তৃষ্ণা পেলে আকুল মনে ব্যাকুল হয়ে জল খুজে সবার মন। জল আসে অবশেষে তৃষ্ণা মেটায়।আবার আমরা ভুলে যায় জলের অবদান— জলবায়ু আর জল নিয়ে কোনো কথা মনে থাকে না জমা। তাতে স্যার জল সুন্দরীও মাইন্ড করে না।
প্রিয়
তুমি আমাদের অনিবার্য জল সুন্দরী হয়ে উঠতে পারো না!?
তুমি হয়ে উঠতে পারো ঘুম প্রয়োজনে
তুমি হয়ে উঠতে পারো আকাশ আয়োজনে
হয়ে উঠতে পারো সাহায্য জনে জনে
হয়ে উঠতে পারো চাহিদা যোগানে
তুমি হয়ে উঠতে পারো ফুল ❀ বাগানে
হয়ে উঠতে পারো সোনালি ফলস ভরাট উঠানে
না! তুমি তা না হয়ে হলে প্রেমিকা সংবাদে সম্মেলনে।
বউ হলে চব্বিশ ঘন্টার বহনে বহনে
বহন করে যেতে হয়
একবার তোমারে
একবার আমারে
একবার তোমারে
আরেকবার আমারে
তোমারে আমারে
আমারে তোমারে
কে বলেছে তোমাকে—
প্রতিদিন সূর্য হয়ে উঠতে আমার দুনিয়ায়
তুমি প্রিয়
সামান্য দেনা হও সামান্য পাওনায়
আলো হও ভোর রাতে অন্ধকারের আয়নায়
আমি না হয় পাখির সকাল তোমার কামনায়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন