রাধাকে করিও জিজ্ঞেস
কেনো আমি কালা
পারলে জেনে নিও
তার বুকের জ্বালা
রাধাকে করিও জিজ্ঞেস
কেনো আমি কালা
পারলে জেনে নিও
তার বুকের জ্বালা
পুরাতন। পিরিত পুরাতন। স্বাস্থ্যশীল পুরাতন। বহু জাগতিক পুরাতন পৃথিবী। মানুষের কল্পনার মতো যাচিত সনাতন পৃথিবী। কাচা পাতা বিক্রি করতে করতে জলের ছায়ায় কাপ্তাই মানুষ ভাসে— জলে স্থলে রসে কসরত ভঙ্গিতে প্রতারক মানুষ প্রার্থনার কথা বলে— অপরাজিতা ফুল ❀ দিয়ে চা হলেও আমার দুখ তোমার হয়ে যায় না— আমার দুখের কারন হতে পারো তুমি কিংবা তোমরা। আকাশে তারায় ☆ তারা যন্ত্র পাঠায়— তারা আকাশ বানাতে পারে না— আকাশের পাতে সূর্য একটা ডিম পারে— আর সেই ডিম খেয়ে বেচে থাকে যতসব বিজ্ঞানীফুল আর ফুলবানুর দল। আকাশ থেকে যতদূর মানুষের ঘর ততকাছে মানুষের মন— আকাশের সাথে দেখা হয় রোজ— দেখা হয় না দেখা হয় না কেবল মাটির উজ্জ্বল ব্রোর মনবাজারের প্রোজেনিটর সরলতার সাথে— রাখা হয় না রাখা হয় না খোঁজ— দ্যা স্কাই হেজ নো কালার— তোমায় নীল রঙের শাড়ি উপহার দিবো প্রথম রাতে — আমি পড়বো রেড চেড়ি কালারের পাঞ্জাবি— কাল বৃষ্টি হবে না— চোখে এখন পাহাড়ের মেঘ ☁— মেঘ ভাসে তুমি হাসো— তুমি হাসো আমি ভাসি— হাসতে হাসতে ভাসতে ভাসতে আমরা হয়ে উঠি চর— চর থেকে চারভাগ স্থল— তারপর পৃথিবী। পৃথিবী। পিরিত পৃথিবী। স্বাস্থ্যশীল পৃথিবী। মানুষের কল্পনার মতো স্থলমাতানো জলকাপানো মনমাতানো কাকত মামত পৃথিবী।
১৮৬০ সালের কাছাকাছি সময়ে ডার্টবোর্ড ইংল্যান্ডের সোনালি রোদে প্রথম কোনো এক শাদা চামড়ার লোক খেলেছিলো বলে আমরা নিষাদরা অনুমান করে থাকি। বর্তমান আয়ারল্যান্ডসহ পৃথিবীর অনেক দেশে বেশ জনপ্রিয় এই নিশানাপ্রধান খেলাটি। এই খেলাটি হাত, চোখ এবং ব্রেইনের খেলা।
ডার্টবোর্ড থেকে ব্যক্তির অবস্থান দূরত্ব ৮ ফোট ৯ ইঞ্চি— ভূমি থেকে বোর্ডটির উচ্চতা ৫ ফোড ৮ ইঞ্চি বা ১.৭২ মিটার। তার কিন্তু অনেক ডাকনাম আছে— throwers, arrows, tungsten, dartsmith।
ওয়ার্ল্ড ডার্ট ফেডারেশন(WDF) ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ইন্ডিয়া-পাকিস্তান এই ফেডারেশনের সদস্য পদ লাভ করলেও বাংলাদেশ এখনো পদ্দা সেতুতে ছবি তুলা নিয়ে ব্যস্ত। PDC World Cup of dart প্রতিষ্ঠা লাভ করে ২০১০ সালে জার্মানিতে।
ডার্টবোডের মূলবিন্দু সই করতে পারলে জিত আপনার এবং আপনার নাম্বার হবে ১০০— মূলবিন্দুর শরীর ঘেঁষে রয়েছে স্পর্শবিন্দু এবং তাকে সই করতে পারলে আপনি পাবেন ২৫ নাম্বার।
সার্কেল রয়েছে দুটি— অন্তসার্কেল এবং প্রান্তিক সার্কেল— অন্তসার্কেল সই করতে পারলে আপনি পাবেন ডার্ট যে নাম্বার বরাবর রয়েছে তার তিনগুণ ( মানে ২০ বরাবর হলে ৬০), প্রান্তিক সার্কেল সই করতে পারলে আপনি পাবেন যে নাম্বার বরাবর ডার্ট রয়েছে তার দুইগুণ ( মানে ১৩ বরাবর হলে ২৬)। এবং বৃত্তের ভেতরে অন্যসব জায়গায় যেখানে আপনার ডার্ট থাকবে এবং ডার্ট যে নাম্বার বরাবর থাকবে সেই নাম্বারই আপনার প্রাপ্তি নাম্বার। মোট নাম্বার ১০০ প্রাপ্তি হলে আপনি জয়। আরেকটি কথা, আপনার হাতে কিন্তু ডার্ট দেয়া থাকবে ছয়টি। টুর্নামেন্ট হলে হিসাব আলাদা জয়নাম্বার নির্বাচন করার ক্ষেত্রে— ১০১ রাখতে পারেন অথবা ৩০৩ রাখতে পারেন— ইটস আপ টু ইউ।
আমার নিজের রুমে একটি ডার্টবোড রয়েছে এবং ঘুম থেকে উঠে আমার প্রথম কাজ এই বোডের মূলবিন্দু সই করা খেলায় মত্ত হওয়া— নিজেই নিজেকে পুরষ্কারজয়ী ঘোষণা করি ইন এবরি মোর্নিং।
উজ্জ্বল ভাইয়ের মাটি ক্যাফেটা দারুণ— প্রকৃতির মাঝখানে ম্যান মেইড প্রকৃতি। প্রায়ই সেখানে গিয়ে আকাশ-নদী, নদী-কাশফুল, চাঁদ-জলের সাথে বাতাসের মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানানোর অভিপ্রায়পথ ধরার চেষ্টা করি। মাটি ক্যাফেটার অবস্থান নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দক্ষিণে শেখ হাসিনা ব্রিজের দক্ষিণপাশ সংলগ্ন মেঘনা নদীর পাড়ে।
একদিন গিয়ে দেখি উজ্জ্বল ভাই ডার্টবোর্ড খেলার আয়োজন করেছেন— দশবার চ্যালেঞ্জ নিলাম অথচ একবারও জয়ী হতে পারেনি। ফলে পুরষ্কারহীন উপায়ে ঘরে ছেলে ঘরে ফিরে আসে। কিন্তু পুরষ্কার জানে না এমরানুর রেজা ভাই বিশাল নাছোড়বান্দা— রেজা ভাইয়ের রাগের চেয়ে জিদ বেশি।
আজ (৪ জুলাই২০২২) গিয়ে চুপচাপ বসে রইলাম— ইচ্ছে সবার খেলা শেষ হলে ঠান্ডা মাথায় খেলবো এবং আজকে জিতবোই। এক লিটার জল আর এক কাপ কফি শেষ করি। রাত বাজে প্রায় ১০টা। ওমা! ডার্টবোডের গুনার হুক ছিড়ে গেলো— আজকে আর খেলা হবে না!! আমার অনুরোধে বিশেষ উপায়ে বোর্ড ঝুলানো হলো।
মাত্র একটি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করি এবং প্রথম চ্যালেঞ্জে জয় লাভ করি। বিষয়টা আনন্দের।
আনন্দ বেচে থাকলে মানুষ বেচে থাকবে।
আনন্দের জয় হোক
জয় হোক প্রশান্তিময় চিত্তের।
আহা!
আহারে প্রেম!!
গেলাম চলে দূরে বহুদূর
ছিলো আমাদের আকাশ এককালে
ছিলো বাতাস প্রানময় তোমার সুরে
আহা!
আহারে প্রেম!!
রোদে শুকায় জোছনায় জেগে উঠে
কালের খাতায় চর জাগে চক ডাস্টার স্বভাব
ভুলে গেলাম ভুলে গেলাম
মনফুল তুমিবন এখন ঢেউয়ের ঘরে দোল
আমার দারুন অভ্যাসের বিছানো অভাব
আহা!
আহারে প্রেম!!
চলে যায় ঝরা পাতা পথে
আনন্দ নৃত্য করে অনিবার্য শোকে