সোমবার, ১৬ মে, ২০২২

আফা লে রমা ছ

 ০১

হুজুর আর খেজুর মরুভূমিতে ভালো জন্মে


০২

For the sex you can get easily a lot of terrible sources, for the love you can get something a less than the want, for the better living for the sake of soul touch they are rare and you are rare too— Nature gives you something by giving you nothing 


০৩

মশাকে যতই গালি দেই না কেন আমরা, মশা তার দায়িত্ব সম্পর্কে শতভাগ সচেতন


০৪

চালাক নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, বুদ্ধিমান অন্যকে আলোকিত করে। কারন চালাক থামতে জানে না, বুদ্ধিমান পরাজয়ে হাসতে জানে।


০৫

মানুষ অরক্ষিত প্রাণী। মানুষের শিং নেই, বড় বড় নখ নেই, ধূলিকণা থেকে রক্ষার জন্য শরীরচুলও তেমন নেই, রোগ প্রতিরোধ এন্টিবডিও যে খুব শক্তিশালী এমন নয়।


মানুষের একটি শক্তিশালী মস্তিষ্ক রয়েছে। হাজার হাজার বছরের পুরনো মস্তিষ্ক। মানুষ এই মস্তিষ্ক ব্যবহার করে ভিনগ্রহে যেতে চায় অথচ পৃথিবীর তিন ভাগ জলকে কাজে লাগানোর দিকে বিশেষ কোনো নজর নেই।


পৃথিবীতে মানুষের দ্বন্দ্ব শেষ হয় না, তাতেও পৃথিবীতে মানুষের বিকাশ থেমে নেই। মানুষ ঘোড়ার মুখে লাগাম দিয়েছে, গরুকে এনেছে গোয়ালঘরে, বাঘ-সিংহকে খাঁচায় বন্দী করেছে। মানুষই পারে একটি জায়গায় এক হয়ে যৌথভ্রমণের নাবিক হতে,  তাহলে সমস্ত প্রতিকূলতা মানুষের কাছে এসে অসহায় হয়ে যাবে....


০৫

যত উপরে উঠি ততই সহজিয়া জীবন


০৬

বর্ষাকালের হাওর গর্ভবতী ফুল নারী মা— শীতের হাওর পরিশ্রমী বাবার মতো কান্দে জোয়াল নিয়ে কুয়াশা গতরে মেখে দায়িত্বের দিকে ছুটে চলা এক মহাপ্রাণ


০৭

অভিনয় করে গরীব থাকতে গিয়ে কতজন বড় লোক হয়ে যায়— কতজন বড় লোকের অভিনয় করতে গিয়ে ছোটো লোক বনে যায়


০৮

প্রেমের নায়ক কষ্ট বিক্রি করে বউয়ের জন্য ফুল নিয়ে আসে, সংসারের নায়ক ভুল বিক্রি করে বউয়ের জন্য ফুল নিয়ে আসে


০৯

মানুষ মারা গেলেও মানুষের নাক ডাকার শব্দ শোনা যায়,  মাথার নিচের বালিশ নষ্ট হয়ে গেলে মানুষের ঘুম নষ্ট হয়ে যায়


১০

গতির শুদ্ধ নাম জীবন। জীবনের পথ ধরে মানুষের হাঁটাচলা। মানুষ মূলত মানসিকভাবে মানুষ। শারীরিক অবয়ব মানসিকতার ফলাফল মাত্র।


The authentic name of motion is life. Man is strolling across the road of life. Man is man for the mentality, of the mentality and by the mentality. The physique is the sole so result of mentality. 


১১

রাধা পারে ফুল ফিরিয়ে দিতে। রাধাই থাকে ফুলের সাথে। ফুল বিহনে রাধাই জ্বলে কৃষ্ণঅনলে।


১২

সাহিত্য অতৃপ্তির খেলা। গভীর তৃপ্তি নিয়ে সাহিত্যের হৃদয় স্পর্শ করা যায় না। গভীর তৃপ্তি নেশার চেয়ে ভয়ঙ্কর। আত্মসমর্পণ আত্ম-হন্তারক।

বাজপাখি পাহাড়ে চলে যায়। বাজপাখি লোকালয়ে থাকে। লোকালয়ে যে বাজপাখি থাকে তার কাছে জীবন মানে শিকার-শিকারি। নতুন জীবনের আশায় যে বাজপাখি পাহাড়ে যায় তার কাছে জীবন মানে এক সাধনার নাম। সাধনার সামনে প্রতিদিন নতুন নতুন উপলব্ধি এসে ধরা দেয়। লোকালয় তো টেস্টটিউব বেবি— হাওন পেলে যার কান্দন থেমে যায়। 

অসন্তুষ্টি তাই আশীর্বাদের নাম। কারন হাতের পাঁচ কেবল সন্তুষ্টির কথা বলে। সাহিত্য হাতের পাঁচ দিয়ে হয় না, সাহিত্য হাতের পাঁচের সাপলুডু খেলা।


১৩

করাপ্টেড ব্যবস্থায় লেখকদের মুখে হাড্ডি দেয়ার জন্যে কর্তৃপক্ষ পুরস্কারের ব্যবস্থা করে


১৪

মানুষের জ্বর মাপার জন্যে থার্মোমিটার ব্যবহার করা হয় মুখে অথবা বগলের নিচে— গরুর জ্বর হলে থার্মোমিটার তার মুখে ব্যবহার করা যায় না, করলে থার্মোমিটারকে ঘাস ভেবে ভেঙে ফেলবে, রক্তাক্ত হয়ে যাবে গরু— তাই থার্মোমিটারের মাধ্যমে গরুর জ্বর মাপতে হয় তার পায়ুপথ দিয়ে


১৫

হঠাৎ শুনবেন ইন্দুর একটি বই লিখেছে এবং শুনবেন বিড়াল পরিবারে বইটি বেশ প্রিয়তা লাভ করেছে


১৬

মানুষ সত্যবাদী শত্রুকে পছন্দ করে কিন্তু মিথ্যাবাদী বন্ধুকে না, সত্য কিংবা মিথ্যা মানুষেরই বানানো একধরনের ইউটোপিয়া


১৭

সব পাখি ঘরে ফিরে— সব মশাও ঘরে ফিরে— পাখি ঘরে ফিরে খাবার খেয়ে— মশা ঘরে ফিরে খাবার খেতে


১৮

পরাজয় থেকে একদিন জয়ের জন্ম হয়েছিল, মানুষ তার শেকড় ভুলে যায়


১৯

বড় হতে হতে দেখবেন পায়ের নিচের দূর্বাঘাসও আপনার চেয়ে নির্ভীক স্বাধীন


২০

চান্দের জোছনার মালিকানা নেই, বাল্বের আলো মুদির দোকানে বিক্রি হয় রোজ


২১

সমাজ তেল্লা মাথায় তেল দেয়—তাই ভাবছি, মাথাই পর্যাপ্ত তেল রাখবো— তবুও সমাজকে রাখবো না— আমিন


২২

কখনো কখনো মিস্টার লেজ জনাব মাথাকে খেয়ে ফেলে


২৩

Never Trust anyone with the Wealth and wife— In the Harbour society husband is not yours only 


২৪

বিজ্ঞান দিয়ে জীবনের দৈর্ঘ্য প্রস্থ মাপতে যাওয়া মানে পা দিয়ে সাগরের গভীরতা নির্ধারনের চেষ্টা। জীবনকে কোনো ফর্মায় থিওরিতে তত্ত্বের মশালে ফেলা যায় না। জীবন তার মতো স্বাভাবিক কিংবা অস্বাভাবিক, সমতল কিংবা বহুতল। তাই বৈজ্ঞানিক জীবন বা বৈজ্ঞানিক দর্শন বলতে আমরা যা শুনে থাকি তাও একধরনের বনসাই আলাপ।


২৫

জাহাজ জলের উপর দিয়ে চলবে এটাই নিয়ম। জাহাজ ফুটো হয়ে গেলে এর ভিতরে পানি ঢুকবে। ডুবে যাবে। মানুষকেও আলোচনার ভেতর দিয়েই যেতে হবে। ফুটো হয়ে যাওয়া মানুষ আলোচনায় তলিয়ে যায়।


২৬

পাহাড়কে বাতাস সহ্য করার সক্ষমতা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিখতে হয় 


২৭

ছাগলের সংখ্যা অধিক হলেও রাখালের সংখ্যা কম


২৮

বাংলাদেশের মানুষ বদনামপ্রিয় প্রান— এমনকি মৃত্যুর আগেও আজরাইলের কাছে কারো না কারো নামে শেষ বদনামটি করে


২৯

অহংকার জ্ঞানীর বিষদাঁত— বিষদাঁত না থাকলে ন্যাংটা ছাওপুলাও সাপরে রশি বানাইয়া দোল খাবে


৩০

বিয়ে হয় দুটি পরিবারের মধ্যে, সমাজ থার্ড আম্পিয়ারের ভূমিকা রাখে, ছেলেটি মেয়েটি ব্যাটবল মাত্র।

ভাবছেন ফার্স্ট  এবং সেগেন্ড আম্পিয়ারের কথা। তারাও আছেন। তারা হলেন তরবারির মতো ঝুলে থাকা রাষ্ট্রীয় কিংবা ধর্মীয় আইন।

বিয়েতে দর্শক যারা আছেন তারা দাওয়াতপত্র পাওয়া সত্ত্বেও gift নামক টিকেট ক্রয় করে বিয়ে গ্যালারিতে ঢুকে এবং এনজয় নামক মুনাফা পেয়ে বেশ খুশি মনে বাড়ি ফিরে।


৩১

মন বাতাসের বংশধর

Mind is the descendant of the air 


৩২

পরিবারের সবাই যখন কাজে ব্যস্ত— হাসপাতালে লোকটি একা— হাসপাতালে লোকটি যখন একা পরিবারের সবচেয়ে বেকার মানুষটি তখন বিশুদ্ধ কাজের মানুষ


৩৩

ফেইসবুক—

কালিদাসের মেঘদূত।।  রাধা- কালার বড়ায়ি ||ইংরেজদের মীর জাফর।। দেসদিমনার রুমাল।।


৩৪

আপনি সন্দেহ করছেন ভালো কথা— আপনার সন্দেহ কিন্তু সন্দেহের বাইরে না


৩৫

পছন্দ বা ঘৃণা ব্যক্তির একক যোগ্যতা— দুজন বা ততোধিক ব্যক্তির সামষ্টিক ক্ষমতা হলো কমিনিউকেশন


৩৬

গালি দিতে গলা লাগে, ভালোবাসতে লাগে মন


৩৭

বাংলাদেশের যখন কম্পিউটার আবিষ্কার করার বয়স বাংলাদেশ তখন কম্পিউটারে কয়টা নাটবুল্টু আছে তা মুখস্থ করে মোটা বেতনের চাকরি পায়।


চাকরি পেয়ে বাংলাদেশ নয়টা পাঁচটা নাটবুল্টু বিষয়ক অফিস করে, অফিস শেষে ফার্মের মুরগী দিয়ে ডিনার করে সোজা বিছানায় চলে যায়।


বিছানায় কোনোদিন আধাঘন্টা একঘন্টা টুর্নামেন্ট খেলে কোনোদিন খেলে না। যেদিন বাংলাদেশ বিছানায় কোনো প্রকার টুর্নামেন্টের আয়োজন করে না সেদিন ডিনার ডাইজেস্ট না হওয়ার কারনে পেটে গ্যাস পড়ে। তাই বাংলাদেশকে প্রায় প্রতিদিন ট্যাবলেট বিষয়ক অফিস করতে হয়।


এইভাবেই হিমালয় থেকে সুন্দরবন তারপর হঠাৎ বাংলাদেশ!


৩৮

ছোট্ট দুটি পাখা নিয়েও বড় পাখিটা উড়তে পারে—কারন 'পাখি উড়তে পারবে না' তা বলার জন্যে কোনো মানুষ পাখিপরিবারে নাই


৩৯

আলো অন্ধকারের নিন্দা করে না, চ্যালেঞ্জ করে


৪০

বাংলাদেশে বড় হওয়া মানে পাওয়ারের অধিকারী হওয়া। যার কাছে পাওয়ার আছে সেই সবচেয়ে বড় মানুষ। একসময় লাঠির পাওয়ার খুব গুরুত্বপূর্ন ছিল। এখন টাকার আর প্রশাসনিক পাওয়ার খুবই গুরুত্বের দাবিদার।


কোনো মানুষ যখন এই তথাকথিত গুরুত্বপূর্ন পাওয়ারের দিকে যেতে থাকে তখন অন্যরা মানুষটির লেজে ছাই দিয়ে ধরে পেছনের দিকে টানতে থাকে। সকল টান উপেক্ষা করে মানুষটি যখন পাওয়ারের অধিকারী হয় তখন অন্যরা মানুষটির লেজে তেল ঘি মাখতে শুরু করে।


বাংলাদেশের মানুষ আসলে পায়ের নিচে রাখা আর মাথার উপরে রাখার কাজটা ভালো পারে, বুকে টেনে রাখবার কাজটি এখনো শিখে উঠেনি।


৪১

সাগরও আকাশে উড়ে বাষ্পের পালকে


৪২

মানুষ মূলত দেশ


৪৩

মানুষ যখন কাউকে বড় করে তার পেছনে কাজ করে রাজনীতি, মানুষ যখন কাউকে ছোট করে তার পেছনে কাজ করে রাজনীতি— আমি কেবল সমাজ রাষ্ট্রের  রাজনীতিটা মগজে বুঝতে চাই,শ্রবনে না


৪৪

আমার সীমাবদ্ধতা মানে তো আকাশের সীমাবদ্ধতা না,আকাশের তো দূরের কথা পাখিরও না 


৪৫

আলোটা অন্ধকার দূর করতে করতে অন্ধকারই হয়ে যায়—এটা আলোর নিয়তি নয়, সীমাবদ্ধতা।


৪৬

পুরাতন বোতলে নতুন জল রাখা গেলেও পুরাতন মনে নতুন সুর রাখা যায় না


৪৭


অতীত নিয়ে মাথা হাঁটানোর প্রয়োজন নেই— তিনি কবরে চলে যাবেন— তাকে চর্চা করবেন  মুনকার -নাকির।

আর জীবিতদের জন্য অমৃত বাণী—

ওল্লাল আখিরাতো খাইরুল লাকা মিনাল ওলা 


৪৮

রাত বাড়ে, জেগে থাকা বাড়ে— শীতের আগুন বাড়ে না বাড়ার মতন


৪৯

মানুষ আসলে ব্যক্তিমানুষকে পছন্দ করে না,ব্যক্তি মানুষের ভেতরের প্রয়োজনকে পছন্দ করে। মানুষ আসলে ব্যক্তি মানুষকে অপছন্দ করে না, ব্যক্তি মানুষের ভেতরের প্রয়োজনহীনতাকে অপছন্দ করে


৫০

ভাষা দিয়ে যা প্রকাশ করা যায় না তাইতো ভাষা 


৫১

এই পৃথিবীতে মানুষের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার তার নিজস্ব বিনয়— বিনয়ের আম্মার নাম সহনশীলতা

বুধবার, ১১ মে, ২০২২

সোমবার, ৯ মে, ২০২২

চোখের সামনের সুগন্ধি হয়ে

 একটু আসো 

  ফাঁকে একটু আসো 

    ফাঁকে ফাঁকে একটু আসো 

      অনেকটা থেমে যাও 

        তসবির দানার মতো সুতায় প্রেম গাও 

  পাতায় পাতায় একটু হাসো

   অনেকটা থেমে যাও 

   শীতের শিরায় বসে মানুষের প্রান গাও 

পূর্বাভাস অপূর্ব পুর্বারঙে সূচনাসুর অনাবিল গাঙচিল 

   জলের ফাঁকে থামো একটু আনন্দ অনাবিল 

     নারীবাদী রূপকথায় নারী আবাদি দাওয়াবিল 

      সেইখানে 

       যেখানে মজনু খুঁজে হারানো দিন 

        ইয়া জাজং নিথুয়া দিগন্ত আলপিন 

         লায়লি খুঁজে সুর 

          ভোরবেলা পাতার আদর আন্ধার দেহে নুর 

     বাজনার শানে বাজে সুর নৃত্য তাল আনন্দ 

    পাতার দেহে বাতাস যেমন জয় পরানের ছন্দ 

         হলুদ গুড়ো হলুদ গুড়া আলিফ লাম মিম 

          ঘনঘোর তমসা 

           বাতায়ন লেবানন 

            লুকোনো গন্ধম অদৃশ্য আলাদিন 

              রকদস্তি একদিন দুইদিন তারপর বহুদিন 

   শেষ রাতে জেগে উঠে পাতার ফাঁকে জ্বিন 

     জ্বিন যেনো পরী চায় 

      পরী চায় ঘর 

       থেমে থেমে আপন করো 

         করো না 

          করো একটু পর

সোমবার, ২ মে, ২০২২

পাতা ✋পাখি

 পাতাও উড়তে চায়

আকাশে আকাশে 

পাখা নেই তাতে কী 

বাতাস তো আছে

দ্রাক্ষা লাক্ষা মধু

 দ্রাক্ষা। লাক্ষা। উচ্চারণ প্রায় কাছাকাছি। অথচ কত পার্থক্য তাদের আচরণ। দ্রাক্ষা মানে কিচমিচ( vine wilt), লাক্ষা মানে জতু অথবা বড়ই গাছের পোকার বুমি অথবা অলক্ত। মহাভারতে জতুগৃহ নামে এক লোমহর্ষক পরিকল্পনা আমরা দেখতে পাই। পঞ্চপাণ্ডবদের মেরে ফেলার জন্যে জতুগৃহ নির্মাণ করা হয়। রাখে আল্লা মারে কে!? লাক্ষার ভয়ঙ্কর আগুন পঞ্চপাণ্ডবদের  ক্ষতিনিশানার কোনো পথ দেখাতে পারেনি। 


কবিরাজ সাহেবের কাছে এসে জানতে পারি লাক্ষা ও দ্রাক্ষার সাক্ষাৎ পার্থক্য। জানতে পারি মধুর বিশাল এলাকার কথা যেখানে মধু বিভিন্ন উপায়ে মানুষের শরীরে পিএইচডি করে। 


বাড়িতে মধু রাখতে পারেন। মধু জ্বরের বিপরীতে দারুণ কাজ করে। তবে একটা মজার কথা বলি— আমার একান্ত ব্যক্তিগত অবজারভেশনের ফলে বলছি— পৃথিবীতে যত মধু নামের মানুষের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে তারা কিন্তু মানুষের মনের অথবা শরীরের জ্বর বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সক্রিয়  সহায়ক সরকার হিসাবে কাজ করে😃🤪।


বলছিলাম মধু শরীরে জ্বরের বিপরীতে কাজ করে। তবে কোনো মানুষ দীর্ঘমেয়াদি বায়ুর রোগী হলে মধু সেবন না করাই ভালো। কারণ মধু বায়ু বৃদ্ধিকারী। আপনারা অনেকেই জানেন মধু গরম খাবার। আসলে মধু ঠান্ডা খাবার এবং কষায় রস। আরেকটি কথা বলি, মধু নামে যত মানুষ আমার চোখে পড়েছে, দৃশ্যত মনে হয়েছে তারা অত্যন্ত নরম কোমল পানীয়, আসলে তারা গরম রাগী মেজাজ স্থানীয়।

 

আমরা যখন কোনো খাবার গ্রহণ করি তা আমাদের শরীরে তিন প্রকার ক্রিয়া নির্মাণ করে—

উষ্ণ করে

শীতল করে 

অউষ্ণ করে


মধু যেহেতু শীত বীর্যের আকর সেহেতু পিত্তনাশক বা শরীর শীতল করে এবং মধু যেহেতু কষায় রস সেহেতু বায়ু বৃদ্ধি করে বা বৃদ্ধি করে ব্যথা। যেকোনো ব্যথার জন্যে দায়ি বায়ু। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র অনুযায়ী শরীরের যেখানে বাতাস জমে সেখানেই ব্যথা হয়। মধু কষায় রস তাই সে কফনাশক। শরীরে মাটি ও জলের পরিমাণ বাড়লে কফ বাড়ে। মধু স্তম্ভ হিসাবে কাজ করে। কারন তা কষায় রস। যেকোনো কষায় রস স্তম্ভ বা প্রতিরোধ হিসাবে কাজ করে। তবে ব্যতিক্রম তো আছেই। তাই মধু যেকোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার ক্ষতিকর আক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। আগের দিনে ক্ষতঘার ড্রেসিং করার কাজে মধু ও ঘি সমান পরিমাণে মিশ্রণ করে একধরনের ড্রেসিং প্রক্রিয়া নির্মাণ করা হতো। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র বলে মধু ও ঘি সমান পরিমাণে মিশ্রণ করে একটা প্রক্রিয়া নির্মাণ করলে তা বিষ হয়ে যায় যা খাবার হিসাবে গ্রহনে  কিডনি ও চামড়ার দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে।