তিনশত দুই। তিনশত সাত। তিনশত ৫৪। বাংলাদেশের মানুষের কাছে অধিক পরিচিত তিনটি ধারা। তবে তিনশত দুই ধারা খুব বেশি পরিচিত। দন্ডবিধির তিনশত ৫৪ ধারাটি ইদানিং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারন আগে বাংলাদেশের নারীরা নিজের শরীরকে ইজ্জতের প্রথম এবং শেষ মূলধন মনে করতো। এবং এই মূলধনের উপর কোনো প্রকার আক্রমন মানে তাদের জীবন শেষ। এই মূলধন কোনো প্রকার চুরি বা ডাকাতি হলে মৃত্যুই প্রথম এবং শেষ অবলম্বন মনে করে তারা মাটিতে মিশে যাওয়ার নিয়তে যাত্রা করতো।
নারীর দৃষ্টিভঙ্গিররর বদল হয়েছে। এখন তারা প্রতিবাদ করতে শিখেছে। অবশ্যই সব সময়ই প্রতিবাদের আড়ালে অসৎ নিয়তের বান্দা থাকে যারা নিজের মানসিক অসুস্থতাকে প্রতিবাদের নামে বিক্রি করতে চায়।
এই তিনটি ধারাকে কেন্দ্র করে 'মায়াবতী' জোয়ার পেয়েছে। মায়াবতী মূলত মায়া'র প্রিন্সেস মায়া হয়ে উঠার এক জীবনস্রোত। অরুণ চৌধুরী মায়াকে তাঁর ক্যামেরা শিল্পের মাধ্যমে মায়াবতী করে তুলেছেন। মায়াবতীকে সিনেমা মনে হতে পারে মনে হতে পারে টেলিফিল্ম। আমার কাছে মনে হয়েছে সত্য ঘটনার সরাসরি ছদ্মবেশ অথবা নিষিদ্ধ পল্লীর প্রসিদ্ধ কোনো জীবন যা পর্দার মধ্যে দিয়ে এসে আমাদের কান ও চোখকে শীতল ও সচেতন করে দেয়।
মায়া সেই মেয়ে যার মাংস আছে কিন্তু মাংসের নিরাপত্তা নেই। দরিদ্র ঘরের জোছনা মায়া যা আশীর্বাদের চেয়ে অভিশাপ অধিক সৃষ্টি করে। ফলে ছোট বয়সে মায়া নিরাপত্তার নামে হয়ে পড়ে নিষিদ্ধ পল্লীর বাসিন্দা। এমন ঘটনা পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ঘটে। দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীমসনদে যে সকল রাজারা বিচরন করেন তারা সমাজের পর্যাপ্ত ভদ্রলোক। এই ভদ্রলোকদের বাইজি যারা হয়ে থাকে তারা বড় ঘরের মাইয়্যাদের মতো এ্যাডভাঞ্চার করার সুউচ্চ অভিলাষকে সামনে রেখে দৌলতদিয়ার রেলওয়ে যৌনপল্লীর বাসিন্দা হন না। তাদের প্রত্যেকের জীবনের পেছনে রয়েছে নিষ্ঠুরতার চোরাবালির বেলকুচি যা শুনে হাসি আসবে, জল আসবে চোখের গলিপথে, আহত হতে হয় হৃদয়ে হৃদয়ে।
মায়া সেই দৌলতদিয়ার পল্লীকন্যা। তবে যৌনকর্মী সে নয়। ওস্তাদ খোদাবক্স তাকে সুরকর্মী করে তুলেছেন, ব্যারিস্টারপুত্র ইকবাল তাকে করেছে প্রেমিকা। তাই মায়া কিংবা প্রিন্সেস মায়া অথবা মায়াবতী একটি গল্প যা দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীর বিশেষ সৃষ্টি।
নির্মাতা অরুণ চৌধুরীর এটি দ্বিতীয় সিনেমা। প্রযোজনায় আছে আনোয়ার আজাদ ফিল্মস ও অনন্য সৃষ্টি অডিও ভিশন প্রোডাকশন। ইয়াশ রোহানের এটি দ্বিতীয় সিনেমা। তার প্রথম সিনেমা 'স্বপ্নজাল'। ইয়াশ রোহানের সাথে তিশার এটি দ্বিতীয় কাজ। এর আগে তারা একটি নাটকে কাজ করেছে। খুব সম্ভবত নাটকের নাম 'উপলব্ধি', পরিচালক ইমেল হক।
মায়াবতী সিনেমায় ফ্লাশব্যাক পদ্ধতি বারবার ব্যবহার করা হয়েছে। তাতে ভালোই লেগেছে তবে ব্যাকল্যাশ সমস্যাও তৈরি হয়েছে। মায়াবতীতে সঙ্গীত খুব গুরুত্বপূর্ন। ফরিদ আহমেদ একজন গুনগত মানগত সজ্ঞায়িত শিল্পীজন। চিরকুট ব্যান্ডও বেশ নাম কামায় করেছে ইদানিং। ফরিদ আহমেদ ও চিরকুটের যৌথ প্রয়াসে মায়া বেগমের ভূপালটোড়ী জীবন এক প্রেরনার নাম হয়ে অবস্থান নিয়েছে। তাছাড়া মামুনুর রশীদ থেকে শুরু করে এই সিনেমার প্রত্যেক আর্টিস্ট যেকোনো গল্পকে জীবন দেয়ার ক্ষমতা রাখেন, এমন সক্ষমতা তাঁরা মায়াবতীতে দেখাতে সক্ষমও হয়েছেন। তবে দুই ঘন্টা বিশ মিনেটের এই সিনেমায় আদালত পাড়ার আয়োজন খুব গুরুত্বপূর্ন জায়গা দখল করে আছে যা সিনেমার গতিমুখকে নাটকমুখী করে তুলেছে। তবু কোনো প্রকার জাজমেন্ট না করে বলবো 'মায়াবতী' একটি জীবনের গল্প, একজন মায়া বেগমের চিত্রলেখা, দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর এক ব্যতিক্রম জীবনদায়ী আয়োজন।
নারীর দৃষ্টিভঙ্গিররর বদল হয়েছে। এখন তারা প্রতিবাদ করতে শিখেছে। অবশ্যই সব সময়ই প্রতিবাদের আড়ালে অসৎ নিয়তের বান্দা থাকে যারা নিজের মানসিক অসুস্থতাকে প্রতিবাদের নামে বিক্রি করতে চায়।
এই তিনটি ধারাকে কেন্দ্র করে 'মায়াবতী' জোয়ার পেয়েছে। মায়াবতী মূলত মায়া'র প্রিন্সেস মায়া হয়ে উঠার এক জীবনস্রোত। অরুণ চৌধুরী মায়াকে তাঁর ক্যামেরা শিল্পের মাধ্যমে মায়াবতী করে তুলেছেন। মায়াবতীকে সিনেমা মনে হতে পারে মনে হতে পারে টেলিফিল্ম। আমার কাছে মনে হয়েছে সত্য ঘটনার সরাসরি ছদ্মবেশ অথবা নিষিদ্ধ পল্লীর প্রসিদ্ধ কোনো জীবন যা পর্দার মধ্যে দিয়ে এসে আমাদের কান ও চোখকে শীতল ও সচেতন করে দেয়।
মায়া সেই মেয়ে যার মাংস আছে কিন্তু মাংসের নিরাপত্তা নেই। দরিদ্র ঘরের জোছনা মায়া যা আশীর্বাদের চেয়ে অভিশাপ অধিক সৃষ্টি করে। ফলে ছোট বয়সে মায়া নিরাপত্তার নামে হয়ে পড়ে নিষিদ্ধ পল্লীর বাসিন্দা। এমন ঘটনা পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ঘটে। দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীমসনদে যে সকল রাজারা বিচরন করেন তারা সমাজের পর্যাপ্ত ভদ্রলোক। এই ভদ্রলোকদের বাইজি যারা হয়ে থাকে তারা বড় ঘরের মাইয়্যাদের মতো এ্যাডভাঞ্চার করার সুউচ্চ অভিলাষকে সামনে রেখে দৌলতদিয়ার রেলওয়ে যৌনপল্লীর বাসিন্দা হন না। তাদের প্রত্যেকের জীবনের পেছনে রয়েছে নিষ্ঠুরতার চোরাবালির বেলকুচি যা শুনে হাসি আসবে, জল আসবে চোখের গলিপথে, আহত হতে হয় হৃদয়ে হৃদয়ে।
মায়া সেই দৌলতদিয়ার পল্লীকন্যা। তবে যৌনকর্মী সে নয়। ওস্তাদ খোদাবক্স তাকে সুরকর্মী করে তুলেছেন, ব্যারিস্টারপুত্র ইকবাল তাকে করেছে প্রেমিকা। তাই মায়া কিংবা প্রিন্সেস মায়া অথবা মায়াবতী একটি গল্প যা দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীর বিশেষ সৃষ্টি।
নির্মাতা অরুণ চৌধুরীর এটি দ্বিতীয় সিনেমা। প্রযোজনায় আছে আনোয়ার আজাদ ফিল্মস ও অনন্য সৃষ্টি অডিও ভিশন প্রোডাকশন। ইয়াশ রোহানের এটি দ্বিতীয় সিনেমা। তার প্রথম সিনেমা 'স্বপ্নজাল'। ইয়াশ রোহানের সাথে তিশার এটি দ্বিতীয় কাজ। এর আগে তারা একটি নাটকে কাজ করেছে। খুব সম্ভবত নাটকের নাম 'উপলব্ধি', পরিচালক ইমেল হক।
মায়াবতী সিনেমায় ফ্লাশব্যাক পদ্ধতি বারবার ব্যবহার করা হয়েছে। তাতে ভালোই লেগেছে তবে ব্যাকল্যাশ সমস্যাও তৈরি হয়েছে। মায়াবতীতে সঙ্গীত খুব গুরুত্বপূর্ন। ফরিদ আহমেদ একজন গুনগত মানগত সজ্ঞায়িত শিল্পীজন। চিরকুট ব্যান্ডও বেশ নাম কামায় করেছে ইদানিং। ফরিদ আহমেদ ও চিরকুটের যৌথ প্রয়াসে মায়া বেগমের ভূপালটোড়ী জীবন এক প্রেরনার নাম হয়ে অবস্থান নিয়েছে। তাছাড়া মামুনুর রশীদ থেকে শুরু করে এই সিনেমার প্রত্যেক আর্টিস্ট যেকোনো গল্পকে জীবন দেয়ার ক্ষমতা রাখেন, এমন সক্ষমতা তাঁরা মায়াবতীতে দেখাতে সক্ষমও হয়েছেন। তবে দুই ঘন্টা বিশ মিনেটের এই সিনেমায় আদালত পাড়ার আয়োজন খুব গুরুত্বপূর্ন জায়গা দখল করে আছে যা সিনেমার গতিমুখকে নাটকমুখী করে তুলেছে। তবু কোনো প্রকার জাজমেন্ট না করে বলবো 'মায়াবতী' একটি জীবনের গল্প, একজন মায়া বেগমের চিত্রলেখা, দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর এক ব্যতিক্রম জীবনদায়ী আয়োজন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন