জলের সাথে মিশে যাওয়ার পর অনেকদিন দেখা হয় না আমাদের। পুরাতন পথে ঘর নির্মান করে দ্রোনাচার্য দেবব্রত ভীষ্ম সূর্যসন্তান কর্ন। পুরাতন পথের অলংকার তারা। পুরাতন পথে হাঁটে না বাসুদেব। পুরাতন পথে প্রাসাদ নির্মান করে অহংকার করতে চায় না অর্জুন ভীম যুধিষ্ঠির নকুল সহদেব। বাতাসের শব্দ থেকে যারা কিছু নিতে পারে তারা ত নিবেই। ঘরের বাইরেও ঘর থাকে। অহংকার থেকেও মানুষের জন্ম হয়। জ্ঞানরাজ আলীও না খেয়ে থাকে অভাবে। কলমের মুখ থেকেও কখনো কখনো বের হতে থাকে রক্ত। জলের খুব কাছে পাতার নড়াচড়া। মাছ জালে আসবেই। নদী এখনো বেঁচে আছে। ট্রেন চলে না রেললাইনে-- যাত্রী চলে। একলব্য একমাত্র শিষ্য একলব্য একমাত্র গুরু। একলব্যই পারে স্বয়ং চলতে ও চালাতে। বর্ষাকাল মানেই ত জলের মাহফিল। দ্রৌপদীর মাহফিলে পঞ্চ পান্ডব ধর্মের জিকির।
রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৯
Think your better
Whole silent whole word and whole life is a drop of stone turn. My dear life, how are you? Make sure your flag. Make sure your day morn. Walking and walking sleeping and sleeping onto the eternal pole game. My dear life, how are you? Last time, time before last I kiss your green leaf. You are possible milk, you are possible road, you are possible river. My dear life think you are fresh enough. If come you should come, if hate you should hate, if love you should love. Everything or anything or nothing think better.
শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৯
প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আমাদের ভবিষ্যৎ
একাডেমিক শিক্ষা অনেকটা ঘরের মতো। যখন ঘর ছিল না তখনো মানুষ পৃথিবীতে ছিল। তখন আকাশটাই ছিল একমাত্র ছাদ। এখন ছাদের ভেতরেও ছাদ আছে। ঘরের প্রান খুঁটি। খুঁটিকে অনেকেই খুঁটিনাটি বিষয় বলতে পারে। কিন্তু খুঁটিনাটি বিষয়টি ঘরের জন্য মহা সত্য। দালানের জন্য যেমন ফাউন্ডেশন প্রান তেমনি ঘরের জন্য খুঁটি তেমনি একাডেমিক শিক্ষার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা।
প্রাথমিক শিক্ষার একাডেমিক আঁধার প্রাথমিক বিদ্যালয়। অর্থাৎ প্রাথমিক বিদ্যালয় একাডেমিক শিক্ষার ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশন দুর্বল হলে দালান যত আকাশমুখী হবে ততই বিপদজনক।
বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা তথা ফাউন্ডেশন শুধু দুর্বল নয়, খুবই দুর্বল। দুর্বলতার কারন অনেক। প্রধান কারন শিক্ষক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক যারা আছেন তাদের শিক্ষার গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন করা যায়। অধিকাংশ শিক্ষক নিজের পছন্দকে সামনে রেখে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেননি। নিজের পছন্দ মতো বিয়ে না করলে কারো দাম্পত্য জীবন সুখের হয়েছে এমন কথা রূপকথার কাহিনিতেও শুনতে পাওয়া যায় না।
অনেক অনেক বছর আগে শিক্ষকতার একটি সামাজিক মর্যাদা ছিল। শিক্ষকদের মনে করা হত সমাজের মাথাতুল্য। তখন ক্ষমতা আর মর্যাদা দুটি ভিন্ন সত্তা। এখন ক্ষমতা মানে মর্যাদা, মর্যাদা মানে ক্ষমতা নয়। এখন কলমের চেয়ে মিসাইল পারমানবিক বোমা শক্তিশালী। ফলে একজন শিক্ষকের চেয়ে একজন বন্দুকধারী মানুষ অনেক শক্তিশালী। তাই যে যত পাওয়ার প্রেকটিস করতে পারে সে তত শক্তিশালী।
বিদেশ থেকে চিঠি এসেছে। চিঠিতে কালো কালো লেখার মানে জানতে চান শাড়িপরা বউ মায়াভরা মা। মানে ত কেউ জানে না পরিবারের। জানে। একজন জানেন। তিনি হলেন মাস্টার। মাস্টার নয় মাস্টার মশাই। মাস্টার মশাই চিঠির কালো কালো বর্নের বাংলা অনুবাদ করেন আর তাতে শাড়িপরা বউ মায়াভরা মা কান্দে হাসে। বিদেশের ছেলে আর দেশের মা বউয়ের মাঝখানে প্রয়োজনীয় সেতু হয়ে অবস্থান করেন মাস্টার মশাই। ফলত মাস্টার মশাই তখন এক প্রয়োজনের নাম।
প্রয়োজন ছাড়া মানুষ কাউকে ভক্তি করে না।
প্রয়োজন ছাড়া মানুষ কাউকে হত্যাও করে না।
যুগের চাহিদায় মানুষ তার প্রয়োজনের বিকল্প আবিষ্কার করে নিতে পেরেছ কিন্তু মাস্টার মশাই নিজেকে প্রয়োজনীয় করার বিকল্প পথ মত আবিষ্কার না করার ব্যর্থতা নিয়ে হয়েছে মাস্টর।
আগে বিজ্ঞাপনে মাস্টার মশাইকে উপযোগ চরিত্র হিসাবে দেখা যেতো। ঘরের চাল কোন রঙের হবে কোন টিন ব্যবহার করলে টেকসই হবে তা নির্ধারন করে দিতেন একজন স্কুল মাস্টার। কেউ অসুস্থ হলে ডাক্তার ডাক পাওয়ার আগে ডাক পেতেন একজন স্কুল মাস্টার। স্কুল মাস্টারকে ধরা হতো জ্ঞানের আকর। আর এখন তিনারা হয়ে গেছেন আকরবাতি।
তিনারা যে আকরবাতি হলেন এর দায় অবশ্যই রাষ্ট্রকে নিতে হবে। কারন রাষ্ট্র বন্দুকবাহিনীর প্রতি যতটা গুরুত্ব দিয়েছে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ততটা গুরুত্ব পন্ডিতবাহিনীর প্রতি দেয় নাই। ফলে মগজহীন হাত তৈরি হচ্ছে যে হাতকে সহজে মগজধোলাই করা যায়।
ফলে জঙ্গল নেই কিন্তু জঙ্গীর গন্ধ পাওয়া যায় এই মাটিতে। অথচ এই মাটি ছিল সূফিদের মাটি, এই মাটি ছিল চার্বাকদের মাটি, এই মাটি ছিল কবি নজরুলের সাম্যবাদী কবিতার মাটি, এই মাটি ছিল রবীন্দ্রনাথের সোনার তরী কবিতার দার্শনিক মাটি, এই মাটি ছিল জীবনানন্দের বনহংস আর বনহংসীর ধানের মাথায় সবুজ পাতার রূপালি নদীর আদিম সুখে মাতম করা মাটি, এই মাটি ছিল দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের কবিতার ( পুষ্পে পুষ্পে ভরা শাখি, কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি/গুঞ্জরিয়া আসে অলি পুঞ্জে পুঞ্জে ধেয়ে/তারা ফুলের উপর ঘুমিয়ে পড়ে ফুলের মধু খেয়ে।) মাটি, এই মাটি ছিল বাউলকথার প্রেমথাকা মাটি।
সেই সময়ের কথা বলছি যখন গুরু গরু নয়। তখন গুরুদের একটি দায়িত্ব ছিল। দায়িত্বের পাশাপাশি তাদের একটা চেতনাও ছিল। আর এখন দায়িত্বের নাম ব্যবসা আর চেতনার নাম ব্যবসায়িক মন। গুরু এখন রাষ্ট্রের কাছে গরু। গরুকে এখন মাঠে যেতে হয় না, গোয়াল আর গোয়ালপাড়ায় থেকে দুধ আর মাংস দিলেই হয়। অবশ্যই মাংসদুধও তাকে দিতে হয় না, আধুনিক সময় তার কাছ থেকে আদায় করে নিতে পারে।
স্টুডেন্ট যত বড় বিদ্যান হোক না কেন শিকড়কে অস্বীকার করা বা ভুলে যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়, বর্তমান সময়কে সামনে রেখে বলতে গেলে আবার অসম্ভবও নয়। গুরুকে গরু বানানোর কাজটি প্রাথমিকভাবে শুরু হয় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। শিকড়ের পচনপ্রভাব পাতায় ধরা পড়ে খুব সহজে। গুরু গৃহপালিত গরু হয়ে যাওয়ার পর লাভবান হয়েছে অনেক মহল। প্রতিযোগিতার নাম দিয়ে গুনাবলিকে পন্যাবলি বানানোর প্রক্রিয়াটি সহজে সম্পন্ন করা গেছে।
সেবার নৈতিকতা আর ব্যবসায়িক নৈতিকতা এক নয়। সেবার নৈতিকতা মানবিক আর ব্যবসায়িক নৈতিকতা জাগতিক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কর্মসূচি জাগতিক করা হয়েছে। ফলে স্টুডেন্ট বর্নের সাথে বর্নের মিলনের ফলদায়ক হিসাবটা জানতে পারে বলতে পারে, জানতে পারে না বলতে পারে না মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের গভীরতার জায়গাটি কোথায়। তার জন্য অবশ্যই শিক্ষক দায়ী। আজকের স্টুডেন্ট আগামীর শিক্ষক, আগামীর শিক্ষক আজকের স্টুডেন্ট। ছাত্রকে অবশ্যই বড় করে অপরাধী বলাও যায় না। কারন শিক্ষক ডেবিট ক্রেডিট জানেন না, ছাত্র কেমন করে চূড়ান্ত হিসাব মেলাবে!?
সংস্কৃতি মানবজাতির ক্যাপিটেল। মানবজাতি উন্নত হয়ে রুচিশীল হয়ে বেঁচে থাকার তাগিদ লাভ করে সংস্কৃতির কাছ থেকে। ক্যাপিটেলের ধারনা যুগে যুগে পরিবর্তন হয়ে মানবমুক্তির কারন যে হতে চেয়েছে তার জন্য দায়ী সংস্কৃতি। সংস্কৃতিকে অনেকটা মাটির উর্বরতা শক্তির সাথে তুলনা করা যায়। মাটির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে অপ্রাকৃতিক কৃষি ব্যবস্থার কারনে আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রের মেধাভিত্তিক সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে অবৈজ্ঞানিক শিক্ষাচরনের কারনে।
শিশু বয়সটা মূলত অভিযোজিত হবার বয়স। এই বয়সে শিশু পৃথিবীতে চলার প্রশিক্ষন লাভ করে। এই বয়সে তাই শিশুর প্রয়োজন সম্পর্ক নির্মান কৌশল শিক্ষা। অথচ এই বয়সে তাকে শিখতে হয় তার পাশের ছাত্রটি বা ছাত্ররা তার আন্তরিক শত্রু যাদের সাথে মুখ দিয়ে কথা বলা যাবে কিন্তু মন দিয়ে চলা যাবে না। কারন একটি ক্লাসে তাকে একাই মেধাবী হতে হবে। অন্যরাও মেধাবী হতে পারবে তবে দ্বিতীয় শ্রেনীর। অর্থাৎ সংস্কৃতি হয়ে যাচ্ছে প্রতিযোগিতা নির্ভর। সংস্কৃতি যখন প্রতিযোগিতার জয়গান করে তখন মানুষে মানুষে সম্পর্ক নষ্ট হয়। কারন সংস্কৃতি বিকশিত হয় মানুষের বৃক্ষত্যাগতলে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের থাকতে পারে ক্যানভাস রং তুলি, থাকতে পারে অভিনয় কর্মশালা, থাকতে পারে আবৃত্তি, থাকতে পারে সঙ্গীত, থাকতে পারে ভ্রমনাবিষ্কার। এই শিক্ষা ডিজিটগুলা অপশনাল হিসাবে নয়, থাকতে হবে পাঠ্যক্রমে। তাহলে ছাত্ররা মননশীল হয়ে বেড়ে উঠবে। মাথায় রাখতে হবে এখন কিন্তু পুকুরের গল্প শুনে ছাত্ররা বেড়ে উঠছে না, এখন বাতাসের যুগ, তাদের হাতের সামনে আটলান্টিক মহাসাগর। বাচ্চাদেরকে নিজেদের সর্বোচ্চ বুদ্ধি শ্রম প্রাজ্ঞসার দিয়ে নির্মান না করলে তারা যেকোনো কিছু দ্বারা নির্মিত হয়ে যাবে। তখন ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।
ধৃতরাষ্ট্র তার একশত পুত্রকে সঠিক সময়ে সঠিক শিক্ষা দেয়নি। তাইতো তার ফল হয়েছে অত্যন্ত নিদারুন করুন। গোবিন্দকে আসতে হলো শকুনির আয়োজিত খেলায়। নির্মান হলো কুরুক্ষেত্র। মরতে হলো দুর্যোধনকে মৃত্যু হলো তার ভাই মিত্রদের।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কিন্তু রোবট না। যদিও তাদেরকে রোবট মনে করে রাষ্ট্র। একজন শিক্ষক একটানা কথা বলেন সাত আট ঘন্টা। তাও আবার বাচ্চাদের সাথে। মলম বিক্রেতাও এতো কথা বলে না যত কথা বলতে হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। একসময় শিক্ষকরা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ক্লান্ত হওয়া স্বাভাবিক। কারন তাদের শরীরে অসুরের রক্ত নয়, মানুষের রক্ত। মানবিক রাষ্ট্র অবশ্যই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্দিষ্ট ক্লাসের ব্যবস্থা করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানুষ আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শ্রমিক ভাবার কোনো কারন নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো সমস্ত সুযোগ সুবিধা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও পেতে পারে। প্রাপ্তির জায়গা থেকে বৈষম্য দূর হলে শিক্ষাও পাবে তার সংস্কৃতি ও তার নিজস্ব বিকাশ।
প্রাথমিক শিক্ষার একাডেমিক আঁধার প্রাথমিক বিদ্যালয়। অর্থাৎ প্রাথমিক বিদ্যালয় একাডেমিক শিক্ষার ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশন দুর্বল হলে দালান যত আকাশমুখী হবে ততই বিপদজনক।
বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা তথা ফাউন্ডেশন শুধু দুর্বল নয়, খুবই দুর্বল। দুর্বলতার কারন অনেক। প্রধান কারন শিক্ষক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক যারা আছেন তাদের শিক্ষার গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন করা যায়। অধিকাংশ শিক্ষক নিজের পছন্দকে সামনে রেখে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেননি। নিজের পছন্দ মতো বিয়ে না করলে কারো দাম্পত্য জীবন সুখের হয়েছে এমন কথা রূপকথার কাহিনিতেও শুনতে পাওয়া যায় না।
অনেক অনেক বছর আগে শিক্ষকতার একটি সামাজিক মর্যাদা ছিল। শিক্ষকদের মনে করা হত সমাজের মাথাতুল্য। তখন ক্ষমতা আর মর্যাদা দুটি ভিন্ন সত্তা। এখন ক্ষমতা মানে মর্যাদা, মর্যাদা মানে ক্ষমতা নয়। এখন কলমের চেয়ে মিসাইল পারমানবিক বোমা শক্তিশালী। ফলে একজন শিক্ষকের চেয়ে একজন বন্দুকধারী মানুষ অনেক শক্তিশালী। তাই যে যত পাওয়ার প্রেকটিস করতে পারে সে তত শক্তিশালী।
বিদেশ থেকে চিঠি এসেছে। চিঠিতে কালো কালো লেখার মানে জানতে চান শাড়িপরা বউ মায়াভরা মা। মানে ত কেউ জানে না পরিবারের। জানে। একজন জানেন। তিনি হলেন মাস্টার। মাস্টার নয় মাস্টার মশাই। মাস্টার মশাই চিঠির কালো কালো বর্নের বাংলা অনুবাদ করেন আর তাতে শাড়িপরা বউ মায়াভরা মা কান্দে হাসে। বিদেশের ছেলে আর দেশের মা বউয়ের মাঝখানে প্রয়োজনীয় সেতু হয়ে অবস্থান করেন মাস্টার মশাই। ফলত মাস্টার মশাই তখন এক প্রয়োজনের নাম।
প্রয়োজন ছাড়া মানুষ কাউকে ভক্তি করে না।
প্রয়োজন ছাড়া মানুষ কাউকে হত্যাও করে না।
যুগের চাহিদায় মানুষ তার প্রয়োজনের বিকল্প আবিষ্কার করে নিতে পেরেছ কিন্তু মাস্টার মশাই নিজেকে প্রয়োজনীয় করার বিকল্প পথ মত আবিষ্কার না করার ব্যর্থতা নিয়ে হয়েছে মাস্টর।
আগে বিজ্ঞাপনে মাস্টার মশাইকে উপযোগ চরিত্র হিসাবে দেখা যেতো। ঘরের চাল কোন রঙের হবে কোন টিন ব্যবহার করলে টেকসই হবে তা নির্ধারন করে দিতেন একজন স্কুল মাস্টার। কেউ অসুস্থ হলে ডাক্তার ডাক পাওয়ার আগে ডাক পেতেন একজন স্কুল মাস্টার। স্কুল মাস্টারকে ধরা হতো জ্ঞানের আকর। আর এখন তিনারা হয়ে গেছেন আকরবাতি।
তিনারা যে আকরবাতি হলেন এর দায় অবশ্যই রাষ্ট্রকে নিতে হবে। কারন রাষ্ট্র বন্দুকবাহিনীর প্রতি যতটা গুরুত্ব দিয়েছে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ততটা গুরুত্ব পন্ডিতবাহিনীর প্রতি দেয় নাই। ফলে মগজহীন হাত তৈরি হচ্ছে যে হাতকে সহজে মগজধোলাই করা যায়।
ফলে জঙ্গল নেই কিন্তু জঙ্গীর গন্ধ পাওয়া যায় এই মাটিতে। অথচ এই মাটি ছিল সূফিদের মাটি, এই মাটি ছিল চার্বাকদের মাটি, এই মাটি ছিল কবি নজরুলের সাম্যবাদী কবিতার মাটি, এই মাটি ছিল রবীন্দ্রনাথের সোনার তরী কবিতার দার্শনিক মাটি, এই মাটি ছিল জীবনানন্দের বনহংস আর বনহংসীর ধানের মাথায় সবুজ পাতার রূপালি নদীর আদিম সুখে মাতম করা মাটি, এই মাটি ছিল দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের কবিতার ( পুষ্পে পুষ্পে ভরা শাখি, কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি/গুঞ্জরিয়া আসে অলি পুঞ্জে পুঞ্জে ধেয়ে/তারা ফুলের উপর ঘুমিয়ে পড়ে ফুলের মধু খেয়ে।) মাটি, এই মাটি ছিল বাউলকথার প্রেমথাকা মাটি।
সেই সময়ের কথা বলছি যখন গুরু গরু নয়। তখন গুরুদের একটি দায়িত্ব ছিল। দায়িত্বের পাশাপাশি তাদের একটা চেতনাও ছিল। আর এখন দায়িত্বের নাম ব্যবসা আর চেতনার নাম ব্যবসায়িক মন। গুরু এখন রাষ্ট্রের কাছে গরু। গরুকে এখন মাঠে যেতে হয় না, গোয়াল আর গোয়ালপাড়ায় থেকে দুধ আর মাংস দিলেই হয়। অবশ্যই মাংসদুধও তাকে দিতে হয় না, আধুনিক সময় তার কাছ থেকে আদায় করে নিতে পারে।
স্টুডেন্ট যত বড় বিদ্যান হোক না কেন শিকড়কে অস্বীকার করা বা ভুলে যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়, বর্তমান সময়কে সামনে রেখে বলতে গেলে আবার অসম্ভবও নয়। গুরুকে গরু বানানোর কাজটি প্রাথমিকভাবে শুরু হয় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। শিকড়ের পচনপ্রভাব পাতায় ধরা পড়ে খুব সহজে। গুরু গৃহপালিত গরু হয়ে যাওয়ার পর লাভবান হয়েছে অনেক মহল। প্রতিযোগিতার নাম দিয়ে গুনাবলিকে পন্যাবলি বানানোর প্রক্রিয়াটি সহজে সম্পন্ন করা গেছে।
সেবার নৈতিকতা আর ব্যবসায়িক নৈতিকতা এক নয়। সেবার নৈতিকতা মানবিক আর ব্যবসায়িক নৈতিকতা জাগতিক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কর্মসূচি জাগতিক করা হয়েছে। ফলে স্টুডেন্ট বর্নের সাথে বর্নের মিলনের ফলদায়ক হিসাবটা জানতে পারে বলতে পারে, জানতে পারে না বলতে পারে না মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের গভীরতার জায়গাটি কোথায়। তার জন্য অবশ্যই শিক্ষক দায়ী। আজকের স্টুডেন্ট আগামীর শিক্ষক, আগামীর শিক্ষক আজকের স্টুডেন্ট। ছাত্রকে অবশ্যই বড় করে অপরাধী বলাও যায় না। কারন শিক্ষক ডেবিট ক্রেডিট জানেন না, ছাত্র কেমন করে চূড়ান্ত হিসাব মেলাবে!?
সংস্কৃতি মানবজাতির ক্যাপিটেল। মানবজাতি উন্নত হয়ে রুচিশীল হয়ে বেঁচে থাকার তাগিদ লাভ করে সংস্কৃতির কাছ থেকে। ক্যাপিটেলের ধারনা যুগে যুগে পরিবর্তন হয়ে মানবমুক্তির কারন যে হতে চেয়েছে তার জন্য দায়ী সংস্কৃতি। সংস্কৃতিকে অনেকটা মাটির উর্বরতা শক্তির সাথে তুলনা করা যায়। মাটির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে অপ্রাকৃতিক কৃষি ব্যবস্থার কারনে আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রের মেধাভিত্তিক সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে অবৈজ্ঞানিক শিক্ষাচরনের কারনে।
শিশু বয়সটা মূলত অভিযোজিত হবার বয়স। এই বয়সে শিশু পৃথিবীতে চলার প্রশিক্ষন লাভ করে। এই বয়সে তাই শিশুর প্রয়োজন সম্পর্ক নির্মান কৌশল শিক্ষা। অথচ এই বয়সে তাকে শিখতে হয় তার পাশের ছাত্রটি বা ছাত্ররা তার আন্তরিক শত্রু যাদের সাথে মুখ দিয়ে কথা বলা যাবে কিন্তু মন দিয়ে চলা যাবে না। কারন একটি ক্লাসে তাকে একাই মেধাবী হতে হবে। অন্যরাও মেধাবী হতে পারবে তবে দ্বিতীয় শ্রেনীর। অর্থাৎ সংস্কৃতি হয়ে যাচ্ছে প্রতিযোগিতা নির্ভর। সংস্কৃতি যখন প্রতিযোগিতার জয়গান করে তখন মানুষে মানুষে সম্পর্ক নষ্ট হয়। কারন সংস্কৃতি বিকশিত হয় মানুষের বৃক্ষত্যাগতলে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের থাকতে পারে ক্যানভাস রং তুলি, থাকতে পারে অভিনয় কর্মশালা, থাকতে পারে আবৃত্তি, থাকতে পারে সঙ্গীত, থাকতে পারে ভ্রমনাবিষ্কার। এই শিক্ষা ডিজিটগুলা অপশনাল হিসাবে নয়, থাকতে হবে পাঠ্যক্রমে। তাহলে ছাত্ররা মননশীল হয়ে বেড়ে উঠবে। মাথায় রাখতে হবে এখন কিন্তু পুকুরের গল্প শুনে ছাত্ররা বেড়ে উঠছে না, এখন বাতাসের যুগ, তাদের হাতের সামনে আটলান্টিক মহাসাগর। বাচ্চাদেরকে নিজেদের সর্বোচ্চ বুদ্ধি শ্রম প্রাজ্ঞসার দিয়ে নির্মান না করলে তারা যেকোনো কিছু দ্বারা নির্মিত হয়ে যাবে। তখন ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।
ধৃতরাষ্ট্র তার একশত পুত্রকে সঠিক সময়ে সঠিক শিক্ষা দেয়নি। তাইতো তার ফল হয়েছে অত্যন্ত নিদারুন করুন। গোবিন্দকে আসতে হলো শকুনির আয়োজিত খেলায়। নির্মান হলো কুরুক্ষেত্র। মরতে হলো দুর্যোধনকে মৃত্যু হলো তার ভাই মিত্রদের।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কিন্তু রোবট না। যদিও তাদেরকে রোবট মনে করে রাষ্ট্র। একজন শিক্ষক একটানা কথা বলেন সাত আট ঘন্টা। তাও আবার বাচ্চাদের সাথে। মলম বিক্রেতাও এতো কথা বলে না যত কথা বলতে হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। একসময় শিক্ষকরা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ক্লান্ত হওয়া স্বাভাবিক। কারন তাদের শরীরে অসুরের রক্ত নয়, মানুষের রক্ত। মানবিক রাষ্ট্র অবশ্যই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্দিষ্ট ক্লাসের ব্যবস্থা করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানুষ আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শ্রমিক ভাবার কোনো কারন নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো সমস্ত সুযোগ সুবিধা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও পেতে পারে। প্রাপ্তির জায়গা থেকে বৈষম্য দূর হলে শিক্ষাও পাবে তার সংস্কৃতি ও তার নিজস্ব বিকাশ।
মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৯
লেগে গেছে আগুন
শকুনির কেল্লা হাতে নিয়ে তারপর ঘুমাতে যাবো
তারপর ঘুমাতে যাবো আমি
এবং ঘুমাতে যাবো
ঘুমাতে যাবো আমি
থেমে যাক যত সব ধর্মের আচার
মায়াজাল মুছে যাক এখুনি
রক্তের দাম দিতে জানে না যারা তারা মৃত এই সংসারে
যারা দুর্যোধন তারা হত্যা হবে পথে প্রান্তরে
এতো লিলুয়া খেলা কেন কী জানতে চাই না কিছু
শকুনির মৃত্যু শান্তির ধারা আনতে পারে রক্তে
ধৃত রাষ্ট্র কাপুরুষ অন্ধ প্রতিবন্ধী
অন্ধ কখনো চোখের সমান ভালোবাসতে পারে না
আজ নিস্তব্ধ
আজ থেমে গেছে রাজ্যের প্রজা উৎসব
বাসুদেবের ময়ূরপুচ্ছ নাচে না আজ
আজ কুন্তির ঘর নেই হস্তিনাপুরে
শুকুনির মাথা দিয়ে প্রানিকুলের খাবার প্রস্তুত হবে
দুর্যোধন শয়তানের রক্ত ভেসে যাক নর্দমায়
হাসান কান্দে
হোসেন কান্দে
কান্দে বিবি সখিনায়
এজিদের হাসি দেখে বিশ্বের কান্না পায়, কান্না ধরে আমার
"নীল সিয়া আসমা লালে লাল দুনিয়া,
আম্মা! লাল তেরি খুন কিয়া খুনিয়া।
কাঁদে কোন ক্রদসী কারবালা ফোরাতে,
সে কাদনে আঁসু আনে শিমারেরও ছোরাতে।"
হস্তিনাপুর আজ ভাসছে দুখের বন্যায়
সাদা পাথরে রক্তের দাগ
আগুনে আগুন সবখানে
আগুনে আগুন হৃদয়ের জানালায়
আগুন লেগেছে মানবতায়
আগুন লেগেছে কারবালায়
মানুষের পথে যারা বিষ ঢালে
অর্জুনের পথে যারা বিষ ঢালে
আলী আসগর নদী যারা ভাসায় রক্তের বন্যায়
তারা মরে নাই
তারা পাপী মরে নাই
তাদের মরন আমার হাতে তারপর আমি ঘুমাতে চাই
আমি ঘুমাতে চাই
এবং আমি ঘুমাতে চাই
হস্তিনাপুর ভাসছে বিরহের বন্যায়
মুখে নাই কথা চোখে নাই দেখা
চোখে আমার ঘুম নাই ঘুম নাই
তারপর ঘুমাতে যাবো আমি
এবং ঘুমাতে যাবো
ঘুমাতে যাবো আমি
থেমে যাক যত সব ধর্মের আচার
মায়াজাল মুছে যাক এখুনি
রক্তের দাম দিতে জানে না যারা তারা মৃত এই সংসারে
যারা দুর্যোধন তারা হত্যা হবে পথে প্রান্তরে
এতো লিলুয়া খেলা কেন কী জানতে চাই না কিছু
শকুনির মৃত্যু শান্তির ধারা আনতে পারে রক্তে
ধৃত রাষ্ট্র কাপুরুষ অন্ধ প্রতিবন্ধী
অন্ধ কখনো চোখের সমান ভালোবাসতে পারে না
আজ নিস্তব্ধ
আজ থেমে গেছে রাজ্যের প্রজা উৎসব
বাসুদেবের ময়ূরপুচ্ছ নাচে না আজ
আজ কুন্তির ঘর নেই হস্তিনাপুরে
শুকুনির মাথা দিয়ে প্রানিকুলের খাবার প্রস্তুত হবে
দুর্যোধন শয়তানের রক্ত ভেসে যাক নর্দমায়
হাসান কান্দে
হোসেন কান্দে
কান্দে বিবি সখিনায়
এজিদের হাসি দেখে বিশ্বের কান্না পায়, কান্না ধরে আমার
"নীল সিয়া আসমা লালে লাল দুনিয়া,
আম্মা! লাল তেরি খুন কিয়া খুনিয়া।
কাঁদে কোন ক্রদসী কারবালা ফোরাতে,
সে কাদনে আঁসু আনে শিমারেরও ছোরাতে।"
হস্তিনাপুর আজ ভাসছে দুখের বন্যায়
সাদা পাথরে রক্তের দাগ
আগুনে আগুন সবখানে
আগুনে আগুন হৃদয়ের জানালায়
আগুন লেগেছে মানবতায়
আগুন লেগেছে কারবালায়
মানুষের পথে যারা বিষ ঢালে
অর্জুনের পথে যারা বিষ ঢালে
আলী আসগর নদী যারা ভাসায় রক্তের বন্যায়
তারা মরে নাই
তারা পাপী মরে নাই
তাদের মরন আমার হাতে তারপর আমি ঘুমাতে চাই
আমি ঘুমাতে চাই
এবং আমি ঘুমাতে চাই
হস্তিনাপুর ভাসছে বিরহের বন্যায়
মুখে নাই কথা চোখে নাই দেখা
চোখে আমার ঘুম নাই ঘুম নাই
রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯
ভীম
হস্তিনাপুরের ভীম করলাকে রাতভর মিষ্টির সিরার মধ্যে ডুবিয়ে রাখে। ভীমের ধারনা ছিল মিষ্টান্নের সংস্পর্শে এসে করলা মিষ্টি হয়ে যাবে। কিন্তু করলা করলাই থেকে যায়।
# করলা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Momordica charantia। করলার আদি নিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ, যা ১৪শ শতাব্দিতে চীনে নিয়ে যাওয়া হয়।
# করলা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Momordica charantia। করলার আদি নিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ, যা ১৪শ শতাব্দিতে চীনে নিয়ে যাওয়া হয়।
শনিবার, ২০ জুলাই, ২০১৯
পার্থক্য
থুথু আর চুমুর পার্থক্যে একজন ধর্ষক একজন প্রেমিক
বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০১৯
তারা
তারা স্টুডেন্ট, তারা সব কিছু করে পড়াশোনা ছাড়া
শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৯
অনেক দিন পর
পাথর ভাবলে
পাহাড় হয়ে পড়তে দেই
পাহাড় ভাবলে
আকাশ হয়ে বসতে দেই
আকাশ ভাবলে
কবিতা হয়ে ভাবতে দেই
কবিতা ভাবলে
ভাবনা হয়ে প্যাঁচানো রবো হাজার বছর
শিখর থেকে শেকড়
শেকড় থেকে শিখর
যেখানে যাবে সেখানেই রবো
রশ্মি হলে সূর্য হবো
অন্ধ হলে আলো নেবো
ভালোবাসায় বিষাদ দেবো
পাহাড় হয়ে পড়তে দেই
পাহাড় ভাবলে
আকাশ হয়ে বসতে দেই
আকাশ ভাবলে
কবিতা হয়ে ভাবতে দেই
কবিতা ভাবলে
ভাবনা হয়ে প্যাঁচানো রবো হাজার বছর
শিখর থেকে শেকড়
শেকড় থেকে শিখর
যেখানে যাবে সেখানেই রবো
রশ্মি হলে সূর্য হবো
অন্ধ হলে আলো নেবো
ভালোবাসায় বিষাদ দেবো
শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০১৯
মহাভারত
মহাভারত পড়ছি। একটি কথা কানে লেগে গেলো। কথাটি হলো "দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন দুর্বল হন তখন রাষ্ট্রের সকল শাখায় বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে!"
আসলেই ত তাই। শেকড় দুর্বল হলে কান্ড শাখা প্রশাখার বিশৃঙ্খলা রোধ করার ত কেউ থাকে না।
এবং জানতে পারলাম পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার সিদ্ধি গ্রামের কমলাকান্তের পুত্র কাশীরাম দেব কেন বলেছিলেন--
"চন্দ্র বাণ পক্ষ ঋতু শক সুনিশ্চয়।
বিরাট হইল সাঙ্গ কাশীদাস কয়।।"
কেন বলেছিলেন--
"মহাভারতের কথা অমৃত সমান।
কাশীরাম দাস ভনে শুনে পূণ্যবান॥"
আসলেই ত তাই। শেকড় দুর্বল হলে কান্ড শাখা প্রশাখার বিশৃঙ্খলা রোধ করার ত কেউ থাকে না।
এবং জানতে পারলাম পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার সিদ্ধি গ্রামের কমলাকান্তের পুত্র কাশীরাম দেব কেন বলেছিলেন--
"চন্দ্র বাণ পক্ষ ঋতু শক সুনিশ্চয়।
বিরাট হইল সাঙ্গ কাশীদাস কয়।।"
কেন বলেছিলেন--
"মহাভারতের কথা অমৃত সমান।
কাশীরাম দাস ভনে শুনে পূণ্যবান॥"
বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০১৯
রেজা নদী
মরনের আগেও যদি দেখা হয়ে যায়
বলবো ভালোবাসি তোমাকেই চাই
বলবো ভালোবাসি তোমাকেই চাই
মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০১৯
কবেতবে
ভালোবাসতে ভালোবাসতে ভোর করে ফেলার পরও তোমার ঠোঁটে রাতের গন্ধ
সোমবার, ৮ জুলাই, ২০১৯
ভাবমূর্তি
যাকে কোনোদিন চোখে দেখি নাই সে যদি আমার মনের ভেতর থেকে থাকে তবে তা সবটাই মানসিক ,আমার মনের নিজস্ব ক্ষমতা, মনের নিজস্ব ক্ষমতা বলে শিল্পী অনেক কিছু নির্মান করেন তবে তা ক্যানভাসে বা সিনেমার পর্দায় কিংবা শব্দের খুব নীরবে, সিনেমার পর্দার নায়িকা কখনো জীবনের নায়িকা হয় না, কারন তার জন্য নায়ক নির্দিষ্ট থাকে, ক্যানভাসে থাকে রং, শব্দের ভেতরে নীরবে নীরবে খেলা করে স্রষ্টার সাপ্লিমেন্ট সাপলুডু
বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০১৯
রেজানদী
তুমি আমি একাকার
রাষ্ট্র চালায় কাঁটাতার
রাষ্ট্র চালায় কাঁটাতার
সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৯
ছাদধর্ম
ছাদে উঠি ছাদে থেকে যাওয়ার জন্য নয়, ছাদ থেকে বড়দেরকে কত ছোট্ট দেখায় তা দেখার জন্যে
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)