বুধবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৮

শেষ রাতের কুয়াশা

ভক্তি না শিখিয়ে অস্ত্র চালানো শেখালে সাগরেত প্রথম গুলি চালায় ওস্তাদের বুকে

সোমবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৮

সব ঘাসেই ময়লা জমে

সব নদীই কেমন যেন পুরাতন হয়ে যায়
সব ঘাসেই কেমন যেন ময়লা জমে

আমাদের বাড়ির সামনে অনেক সুন্দর একটি বাড়ি গড়ে ওঠেছিল-- নির্জন মাঠ, সবুজ পোশাক, দক্ষিনা বাতাস-- প্রকৃতির  সুন্দর আয়োজনে ছিল বাড়িটি।

আজ বাড়িটি শুধুই বাড়ি।

তামাটে বর্নের নদীকন্যা ছিল চোখের সামনে, তার দেহে ছিল বাঁক, বাঁকে ছিল অজস্র জোয়ার, তাও আজ খরচ হয়ে গ্যাছে সময়ের নিহাদ ফ্যাশনে ওয়াল্ডে।

যারা কালো চশমা পরে আমার চোখের সামনে দিয়ে হিরোবেশে পত পত করে হেঁটে যেতো তারা এখনো তেমনই আছে, তেমন নেই আর তাদের সম্পর্কে আমার ভাবনা, আমি এখন জেনে গেছি মাকাল ফল কেন এতো রূপ নিয়ে চেয়ে থাকে অহর্নিশ।

মাকালের ঘর নেই, মাকালের নিজস্ব কোনো আকাশ নেই।

সৎ হলে বলা যায় পাখি আকাশে উড়ে
সৎ হলে বলা চলে মানুষের ঘর আছে
আমাদের ঘর আছে
সাগরে রয়েছে পৃথিবী, পৃথিবীর রয়েছে মাসিকস্রাব-- জোয়ার।

জোয়ারের ঘর আছে একমাত্র সৎ হলে বলা চলে।

কত মানুষ সততার স্লোগানে মিছিলে গ্যাছে, কত কবি হাজার বছরের পথ হেঁটে পেয়েছে তার বনলতা, কত কমরেড এখনো পুরাতন বিপ্লবে আন্ডারগ্রাউন্ড সাজায়।
এখন
ঠিক এখন
কোথায় যেন কী একটা নাই
রাস্তার মাঝ দিয়ে একটি খাল চলে গ্যাছে নদী নামে, অনেক দূরে আবার এই নদীর নাম হয়েছে উন্নয়ন।

কোথায় যেন কী একটা নাই
কেমন করে যেন আমাদের চোখের উপর পড়ে আছে ধূলিকনাস্তর।

রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৮

শেষ রাতের জিকির

সেবার নামে যেমন ব্যবসা চলে, যৌথ দৃশ্যের আড়ালে চলে দলবাজি। ভিন্ন মতের কারো সাথে এক টেবিলে চা খেয়ে দেখান ত আপনি কতটা ঐক্যের স্লোগান তুলতে পারেন। গরু গরু ভাই ভাই আনন্দের আর সীমা নাই।

শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৮

শেষ রাতের প্রার্থনা

~ মানুষের ভালোবাসা দিয়ে দালান ওঠে না,ভালোবাসাহীন দালানে মানুষ থাকে না

~ ভালোলাগাকে জমিয়ে জমিয়ে ভালোবাসতে শিখিনি কেবল, ভালো নালাগাকেও ভালোবাসি,শীতকাল আমার প্রিয় বলে অপ্রিয় গ্রীষ্মে দেশ ছেড়ে পালাই না ত

~ নদী দেখলেই নৌকা ভাসাই না, আমার নৌকারও রয়েছে ব্যক্তিগত নদী

~ অনেকে মিথ্যা বলে, অনেকে নিজেই মিথ্যা

~ অল্প কষ্ট দেয়ার অধিকার যে পায় অধিক সুখ দেয়ার নিশ্চয়তা সে-ই দিতে পারে

মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৮

জোয়ার

নদীতে জোয়ার আসলে মাছেরও সুবিধা, জেলেরও সুবিধা

আমার আর বই পড়া হলো না

কামড়ার শীতসিটে সাধারনত সিট থাকে ছয়টি। প্রায় দেখা যায় সেখানে যাত্রী বসে আছে নূন্যতম নয় জন কখনো বারো জন।

ধরুন একজন সিট পেয়েছে, এই একজন আরও একজন নিয়ে কিংবা আরও দুইজন নিয়ে সুন্দর করে বসে পড়বে। তারপর দেখা যায় বস্তির মতো চমৎকার এক আড্ডার জায়গায় পরিনত হয়-- পা পু বে বু চলতে থাকে। যে যাত্রী একটু চিন্তা করবে বলে এসি কামরায় সিট নিয়েছে তার অবস্থা তিন তের উনচল্লিশটা বাজে।

এমন একটি ঘটনার কথা আজকে আপনাদের বলবো। আমার সিট নাম্বার  সতেরোর গ। কামরায় ঢুকে দেখি কাউ মাউ চেচামেচি শুরু হয়ে গেছে।

কেন?

চাচা বলতেছেন, "আপনাদের সিট তিন জনের আপনারা কেন পাঁচ জন বসবেন?"

বিবাদী পক্ষ দুনিয়ার যুক্তি এনে হাজির করছে, যুক্তি দিয়ে মানবতার দায় দিয়ে বিবাদী পক্ষ প্রমান করার চেষ্টা করছে তারা রাইট।

আমাদের সিটে আমি আর ঔ চাচা, আর একজন বসতে পারবেন। অবশেষে আর একজন সুন্দর আপা তার সুন্দর হাজব্যান্ড নিয়ে উপস্থিত। এবার চাচা আরও ক্ষেপে গেলেন। চাচার আচরন দেখে সুন্দর হাজব্যান্ড রেগে কামড়া থেকে বের হয়ে যেতে চায়লে সুন্দর আপা নতুন প্রেমিকের মতো হাত টেনে ধরে রাখে-- 'না না তুমি যেতে পারবা না'।

আয় মাবুদ আমি একি দেখিতেছি!

এক পর্যায়ে রেগে বিপরীত পক্ষের দুই হিরো বের হয়ে গেলো। থাকলো এবার দুই মহিলা আর এক পুরুষ। আমাদের পাশে থাকলো সুন্দর আপা, সুন্দর আপার হাজব্যান্ড চলে গেলো আমাদের বিপরীত পাশে।

এইবার তিন মহিলার শুরু হলো হচপচ আলোচনা, ইনিয়ে বিনিয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে আরম্ভ করে-- কে কত বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, কার দাদা নানা কত বড় অফিসার, কার জুতা কত পরিষ্কার ইত্যাদি ইত্যাদি।

আর আমার পাশের চাচা টাইপের ভাইজান শুরু করেন ফোনালাপ।ফোনালাপে তিনিও এসপি ডিসি উদ্ধার করে ছাড়ছেন।

একপক্ষের ফোনালাপ আর অন্য পক্ষের অবস্থান জাহিরের পাল্লায় পড়ে আমার আর বই পড়া হলো না। আমার বই পড়া হয়তো খুব ভালো করেই হতো যদি তাদের মতো মানবিকতার আর নিয়ম কানুনের দায় আমিও দিতে পারতাম।

সোমবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৮

আরও অনেক শুনতে হবে

মানুষ পৃথিবীকে এতো বেশি নৈতিকতা শিক্ষা দেয় ফলত পৃথিবী অনৈতিক হতে বাধ্য। পৃথিবীকে মানুষ হয় স্কুলে পাঠায় নয় পাঠায় কোনো কোচিং সেন্টারে। কেউ কেউ পৃথিবীকে প্রার্থনালয়ে পাঠায় যেন পূজো অথবা জিকিরের কাজটি ভালোভাবে করে নেয় পৃথিবী। কয়েকদিন পর হয়তো পৃথিবীকে সংবিধান মুখস্থ করতে হবে অথবা শিখতে হবে দুই প্লাস দুই ইকুয়াল চার। সেদিন হয়তো বেশি দূরে নয় যেদিন শুনতে হবে মানুষ থেকেই পৃথিবীর সৃষ্টি।

মানুষ তবুও হাঁটবে

কাঁটা পায়ে লাগবে
মানুষ তবু হাঁটবে
দুঃখ মনে থাকবে
মানুষ তবুও হাসবে