বাজারচারতলা । গ্রামের নাম।
কালি দাস সাগর জন্ম দেন তার
প্রথম সন্তান। লোকভাষায় নাম
রাখে চর। চর থেকে চার। "তলা" বৃক্ষ
ছায়ার ঘোষিত এলাকা ।
এখনো বেঁচে থাকা তিনটি বটগাছ ,একটি গাবগাছ
জানান দেয় কেমন আমেজে ছিল
তাদের পরিবার।
বাজার বসত । হাঁট বাজার। ক্রেতা-
বিক্রেতা য় পূঋণ
প্রতিযোগিতামূলক বাজার। হাঁট
বেশি দিন টিকে থাকি নি ।
টিকে আছে জন্ম নেয়া নামটি ।
তারাচানের মুখে বাজারচারতলা।
বাজারচারতলার মাটি। জল যে মাটির
আব্বা- আম্মা। জলের প্লাবন
তারাচানের পিলপিল পায়ে,
কচিকাঁচা যৌবনে।
সঙ্গে থাকা আর পাশে থাকা এক
কথা নয়। গ্রামটিই কেবল তারাচানের
পাশে থাকে। সঙ্গে থাকে কতিপয়
মানুষ। ফানুশ।
সৈতল তারাচানের
সঙ্গে থাকা একজন। আঁচল বাবু
আদুরে নাম। তারাচানের দেয়া।
পুকুরে গোসল করতে যাওয়া,
খেলতে যাওয়াঃ প্রত্যেক
কাজে সৈতলের হাত আব্বাজির
আঁচলে । সৈতলরা আব্বাকে শুদ্দ
ভাষায় আব্বাজি বলতো। বাবু
মানে গন্ধের সাথে। খোয়ারের গন্ধ,
আব্বাজির গন্ধ সৈতলের মগজ
থেকে উদ্দার পাইনি ।
তাই তো সে দিনকার সৈতল আজকের
আঁচল বাবু!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন