শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৩

তারাচান

চোখের গতিতে চলছে ট্রেন। হত্যা করছে কুয়াশার পর কুয়াশা। প্রকৃতিপরিবারে অপরাধ বলে কিছু নেই। যোদ্ধারাই বেঁছে থাকার সাহস রাখে। চান্দের লগে রাইতের দোস্তি অইছে। তাইতো কুয়াশার কাফেলা চকচকে, লকলকে। তারাচানের চোখ জানালার পরপাড়ে। সময়ের তৃতীয় চরিত্রে সে মুগ্ধ। রাত নয়, দিন নয়, অন্য কিছু-- চাঁদরাত।
চাঁদরাতে ট্রেন চলছে। গায়ে তার হিমাংশু আঁতর। যাত্রী বহন করা তার জন্মগত দায়িত্ব। চিরায়িত চিরচেনা।
যাত্রী ক্লান্তিতে নিবু নিবু। ভূমিষ্ট হওয়ার জন্য অধীর ব্যাকুল। তাদের তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখে অণু মিনু লাল দ্বীপ। চোখের লালদ্বীপ  তারাচানের মনে বাত্তি জ্বালায়। সাধক বাত্তি।
 প্রান্ত টু প্রান্ত হাঁটছে তারাচান। ভৈরব টু চট্রগ্রাম ট্রেন। সাত ঘণ্টার ভ্রমন। জেন্টেল ওয়াক করে নেয়া ভালো। ট্রেন-এ বসা মানুষের বসনচলন ,মুখচলন ভালোই বাক্কা। কেমন তেমন লেমন অসহায়।কফিলবিহীন কোনো কপিলার দেখা মিললে তো কথাই নেই। মহাকাল নয়, পলক প্রতি ভালো থাকার প্রত্যয়ী তারাচান।
ট্রেন স্টেশনে নোঙর রাখবে রাত দুইটায়।পরিবেশটা তখন আঠালো হয়ে আসবে। কুসুম কমল কণ্ঠে কোনো একজন বলবে--
আমারে নিবা মাঝি লগে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন