রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

গর্ত থেকে বলছি



গর্ত থেকে বের হওয়ার কায়দায়

প্রথমে জিহবা 

তারপর চোখ 

তারপর সমগ্র শরীর


গর্ত থেকে বের হওয়ার কায়দায় 

যতবার নিজেকে গর্তে রেখেছি

ততবার ভেবে পাইনি— গর্তে সাপ

নাকি সাপে গর্ত


গর্তে নিজেকে রাখার পর একটা বিশ্রাম আসে আমার 

ঢেউ থেকে শরীরের তীর পর্যন্ত

বিশ্রামে বিশ্রামে আমি আস্ত একটা শীতকাল হয়ে উঠি


সূর্য উঠে না বহুদিন 

কুয়াশাময় তোমার শরীরে নদী খননের অনুমতি চাই

আমার পোনামাছ বড় হয়ে উঠবে তোমার নামে



তোমার নামে সাপ হলে আমি

সাপকন্যা রাতের দিকে বিন বাজাবেন 

আর তুমি আর আমি তখন 

গর্তের আধারে ডুবে যাই

ডুবতে থাকি বছরের পর বছর

কালের পর কাল

রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

একলব্য

 


একলব্য ভেঙে যায়নি

হয়ে গেছে ধনুক

মনমন্ত্রে ছুড়বে তীর একলব্য 

মানবে না উমুক তমুক

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজব জটিল

 


জাদুকর 

তোমার হাতে জাদু নাই

জাদু দেখাচ্ছে তাই

গোপনে থাকা আক্কাস ভাই

মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সোজা নয় সোজাসুজি



ভাবছো যারা ভালো আছো সব সাজানো

ব্রেইন কিন্তু দেখছে সোজা সব বাকানো

সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

গজব গুজব



গজবের দেশে গুজব নিউজ

মিথ্যা চশমা চোখটা ফিউজ

শুধু শুদ্ধ

 শুদ্ধ হাতে জন্ম নিবে নতুন বাংলাদেশ

হালাল চাওয়াই মানুষ পাবে শুদ্ধ পরিবেশ

রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নাম আছে নাম নাই




নাম আছে মান নাই 

মান আছে নাম নাই 

বিশ্বকে গ্রাম করে 

গ্রামকে বিশ্ব বানাই 

শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

শয়তানের লেজ

 

বর্ডারের দেশ আছে

আছে পতাকা

আছে তরবারি

পতাকার পোশাকে তরবারি

তরবারি রচনা করে রক্তের নদী

কেমনে মানুষ—

মানুষ হয়ে উঠে বর্ডার তোমার থাকে যদি

মানুষের পতাকা প্রেম

মানুষের দেশ মানুষের হাসি ☺

মানুষের প্রয়োজনে মানুষ ভালোবাসি

লোভ থেকে পরিবার লাভ থেকে দেশ

সীমানা প্রাচীর বর্ডার আচিল মুনাফার ছদ্মবেশ

কদর রাতে

নামলো বানি

ভাঙলো নিয়ম

ভাঙলো অতীত সীমানার দেশ

কৃষ্ণ এলো সত্যালো হাতে 

কংসের প্রেস শকুনি পিলার করলো শেষ 

গৌতম বৌদ্ধ 

অসীম মাঠে দেখালো জীবন শূন্যতার ঘাটে 

তুমি মিয়া দুষ্টু—

নামাও বর্ডার প্রেমিকার শরীরে কাঠের খাটে

মানুষ সত্য— নয় ইভ নয় এ্যাডাম

না স্যার না ম্যাডাম 

কেবল মানুষ সত্য প্রেমের পাঠে

মানেনি সীমানা মরিয়ম ইশা 

ফেরাউনের আসমান করলো ধ্বংস সাহসী মুসা

শয়তান তুমি খুব কৌশলে

খুব কৌশলে বানালে পাসপোর্ট ভিসা

লাগবে আগুন শয়তানের লেজে

পালাবে সে সব ছেড়ে 

পেছনের দরজা সেজে 


মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

হাসতে হাসতে

 



আমায় হাসতে দেখে

ভুল করে বসোনা

চোখের জল থেকে শিখেছি

হাসতে হয়

কাদতে মানা

বাচ্চাবিক

 ফুটফুটে বাচ্চা একটা— মানুষের বাচ্চা। ধরতে গ্যাছে ফুটফুটে মুরগির বাচ্চা। ফুটফুটে মানুষের বাচ্চাটি কোনোক্রমে ধরে ফেলেছে একটি মুরগির বাচ্চাকে— মুরগির ফুটফুটে কুসুম কুসুম বাচ্চাটি চেউ চেউ করে উঠলো— আহা! বিপদ!  মহা বিপদ!! কোনো প্রকার সংশয় দ্বিধা না করে মুরগি আক্রমণ করে বসে মানুষের বাচ্চাটিকে— ঠোকর দিয়ে মানুষের বাচ্চার দুটো চোখ তুলে নিলো মুরগি। কষ্ট পাওয়ার কিচ্ছু নেই— এটি তার মুরগিবিক অধিকার। 


মানুষের বাচ্চা দিলো মনকাপানো চিৎকার। গোটা দশজন মানুষ নেমে আসলো বাচ্চার কাছে। গোটা দশজনের পায়ের চাপে মুরগি হারালো তার ফুটফুটে বাচ্চা। সব ফুটফুটে মুরগির বাচ্চা মানুষের পায়ের চাপে পিষ্ট হয়ে গেলো— কষ্ট পাওয়ার কিচ্ছু নেই— এটাই তাদের মানবিক অধিকার! 


মানুষের বাচ্চাটি যে ফুটফুটে মুরগির বাচ্চাটিকে ধরতে গ্যাছে তাতেও আমি কোনো সমস্যা দেখছি না— এটি তার বাচ্চাবিক অধিকার! 


সমস্যা কোথায় জানেন?


বাচ্চাবিক অধিকার! 


বাচ্চা যখন জানে না অধিকার কি জিনিস তখন সে অধিকার তার হাতে তুলে দেয়াই সমস্যা!! বাচ্চার হাতে অধিকার তুলে দিবেন না জনাব— কাচা বেল গাছেই পাকুক— স্বাদ ও গুন অক্ষুন্ন থাকবে— রোদে পাকানো বেল স্বাদে আসলেও গুনে আসেনা।

সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

শক্তির যুক্তি— যুক্তির শক্তি

 রাজাপুর গ্রামের জঙ্গলে দশটি গরু মরে পড়ে আছে— কাক দেখতে পেলো— একটি কাক নিজের চোখ ভরে মন ভরে খেয়ে নিলো মাংস— খাওয়া শেষে ভাবলো অন্য কাকদের খবরটি জানাতে হবে— দ্রুত উড়াল দিয়ে নিজের কাকগ্রামে ছুটে গেলো— সবাইকে পর্যাপ্ত মাংসের খোঁজ নিয়ে কথা বললো।

 

কাকদল ছুটে এলো রাজাপুর গ্রামে— গ্রামের জঙ্গলে— এসে দেখে শকুন আর শকুন। কাকদল অসহায় চোখে শকুনের মাংস খাওয়া দেখে। কাকদের সভাপতি বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না— জরুরি মিটিং ডাকে— মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় শকুনের এমন ভোগবাদী মানসিকতা মেনে নেয়া যায় না— তাহলে কী করা!? আমরা শিয়ালের সহযোগিতা নিবো। যেমন সিদ্ধান্ত তেমন কাজ।


শিয়াল ভাই শিয়াল ভাই। 

কী হয়েছে?  এতো অস্থিরতা কেনো? 

রাজাপুর গ্রামে মাংসের ঢল নামছে। 

তাই নাকি?

হুম। তাইতো দেখে আসলাম।


শিয়ালদল রাজাপুর গ্রামে যেতে না যেতে শকুন উধাও। কিন্তু শকুনদল গরু খেয়ে ফেলছে তিনটি অলরেডি।


এবার শিয়ালের পালা— এবার শিয়ালদল মজা করে গরু খাচ্ছে। কাক কোনো প্রকার ভাগাংশ পাচ্ছে না— কাকদল আবার মিটিংয়ে বসে— কাকের সভাপতির জ্বালাময়ী বক্তব্যে গাছপালা অস্থির হয়ে উঠে— শিয়ালদের এমন স্বৈরাচারী নীতিচার মেনে নেয়া যায় না— আমরা কুকুরের সহযোগিতা নিবো। সভাপতির আদেশক্রমে একটি কাক উড়ে গেলো কুকুরের কাছে।


কুকুর ভাই কুকুর ভাই। 

বলো শুনছি। 

রাজাপুর গ্রামে মাংসের ঢল নামছে। 

তাই নাকি?

তাইতো দেখে আসলাম। শিয়াল পাকনা সব একাই খেয়ে নিচ্ছে।


কাকের কথা শুনে কোনো প্রকার কালবিলম্ব না করে কুকুর প্লাটুন রাজাপুর গ্রামে উপস্থিত। কুকুর এবং শিয়ালের মাঝে কিছুক্ষণ ধাওয়া পাল্টাধাওয়া চলে। মাংস খেতে খেতে যেহেতু শিয়ালের শরীর ভার হয়ে আসে সেহেতু বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি যুদ্ধক্ষেত্রে শিয়াল— শিয়াল পরাজিত হয়— কুকুর প্লাটুন জয়ী বেশে মাংস খাওয়া শুরু করে। 


কুকুর যখন মাংস খাওয়া শুরু করে তখন আর মাত্র তিনটি গরু তাদের মুখের সামনে। 


অল্প সময়ের ভেতরে তিনটি গরু শেষ।


কুকুর যখন মাংস খেয়ে রাজাপুর গ্রাম ত্যাগ করছে তখন কাকদলের সভাপতি আবার জ্বালাময়ী বক্তব্য দিচ্ছে এবং তার জ্বালাময়ী বক্তব্য আকাশপাতাল এক করে ফেলছে— কিন্তু বোকা কাকরা ঠিক বুঝতে পারতাছেনা তাদের সভাপতি এখন কি নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছে— রাজাপুর গ্রামে এখন তো মাংস বলে আর কিছু নাই!

সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

প্রেমের ছদ্মনাম

 

আমরা দুজন গোপন হবো

সময় হলে প্রকাশ

বাতাস পথে আকাশ হবো 

চোখের তারায় তালাশ 

আরও আরও গোপন হয়ে 

একটি আলোর কোনায় 

তোমার ভেতর আমার ছায়া 

প্রেমের মতো মায়ায়

বাকল যেমন লেপ্টে থাকে গাছের শরীর ধরে

গাছরাখালি হাসে যেমন রঙের আলোয় চড়ে

তেমন তুমি যেমন আমি

যেমন তোমার তেমন আমার

পাখা নাচে পাখায়

তোমার ভেতর আমি উড়ি

আবুল তাবুল ডানায় 

পাতা তুমি আমার হাওয়ায় যেমন করে হাসো 

যেমন করে গলে গলে আমার ঠোঁটে বসো

তেমন করে জোছনা হয়ে জোয়ারে যাবো মিশে

তোমার পুরুষ কেবল আমি প্রেমের ছদ্মবেশে 

বীর

 ঝুঁকি নিয়ে ঝুকে পড়ে না বীর

কেটে করে টুকরো ধেয়ে আসা সব তীর