শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪

ইন্দুর কলা

 ইন্দুর হজ করতে গেলো— বহু অন্যায় অপরাধ করে ফেলছে—হজ করলে আবার পাপটাপ মুছে একেবারে নিষ্পাপ হয়ে যায়— লোকে বলে— নিষ্পাপ হওয়ার ধান্ধায় ইন্দুর মূলত হজ করতে যায়।


হজ থেকে ফিরে ইন্দুর মসজিদে যায়— আগে মসজিদ টজ্জিদে ইন্দুর ততটা যেতো না— এখন নিয়মিত যায় — হাজী সাব বলে কথা।


মুসুল্লিরা নামায শেষে বাড়ি ফিরে দেখে কারো কারো লুঙ্গি কাটা কারো পাঞ্জাবি কাটা,কারো প্যান্ট কাটা কিন্তু টুপিটা সবার ঠিক আছে।

কেউ কোনো কারন খুজে পায় না।


ইমাম সাব নামায পড়াচ্ছেন। ইমাম সাব দেখতে পাননি কিন্তু মুসুল্লিরা দেখতে পেয়েছে ইমাম সাবের টুপিটা কাটা।


ইমাম সাবের টুপি যেদিন কাটা দেখলো জনগণ, সেইদিন জনগণ বুঝতে পারছে কোনো টুপিওয়ালা ইন্দুর কেবল মসজিদ না— ইমাম সাবের মিনারেও ঢুকে গ্যাছে!

বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪

আম্রপালি নগর প্রিয়

 কিছু পাখি যেমন থাকে যাদের খাবার খোজার তাড়া নাই— নাই কোনো ঘর সংসার বানানোর সামাজিক ইতিহাস— দ্রৌপদী পঞ্চস্বামী আর্দালি আদর্শের ত্যাগের বাজিমাৎ— সন্তান জন্ম দেয় না যারা প্রতিযোগিতার আয়োজিত আনন্দে— বেড়ে গেলে আবরাহা— বেড়ে গেলে আবরাহার অন্যায়— তারা কেবল পাথরবৃষ্টি ছাড়ে জালিমে জমিনে— ফুলের মতো বাগান দেখে মানুষ আশা খুজে পায় আবার— প্যারানয়েড আশাখেলা নিজেকে লুকানোর আবদার। 


আম্রপালি নর্তকী বৈসালির সামষ্টিক অপরাধ 

তোমার ঘরে আবাবিল বুদ্ধের মিষ্টি প্রেমের আঘাত

আম্রপালি তুমি জানো 

আম্রপালি তুমি জানো— মাংসে তোমার পুরুষের লোভেধোয়া হাত— আবাবিল গৌতম তোমাকে দিলো প্রেমপাওয়া কামপ্রভাত।


কিছু পাখি যেমন থাকে রক্ষা করে রাজাকে 

প্রাসাদে প্রাসাদ বানায় জ্ঞানীর মুকুট সাজাতে

হাওয়া সে তো নিচে নেমে আসে পাখির ডানার আড়ালে

কিছু পাখি বোকা পাখি বসে থাকে ডানাহীন আবডালে

রোদের ছায়ায় শীতঘুমে থাকে মাঘের জন্মকালে

পৌষ মাঘে শীত নাচে 

বৃষ্টি নাচে শ্রাবণে

কিছু পাখি বোকা পাখি বেচে থাকে মরনে

সময়পাখাগতি জানে—

জানে জনে আবাবিল গৌতম প্রান পায় স্মরণে

রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪

আমি তারে ন জিগাই

 কার সাথে থাকে সে কার সাথে যায় 

আমি কি তারে জিগাই


আমি কি তারে জিগাই 

কার সাথে বসে সে রোজ কফি খায়


কার উঠোনে সে প্রতিদিনের আলো 

কার চোখ সে কাবা রঙের কালো 

কার মনে সে সবচেয়ে ভালো

কে করে গল্প তার সাথে লাউ সবজি আলু  

কার সাথে হেসে খেলে তার দিন কেটে যায় 

আমি তো তারে ন জিগাই


আমি তার গাছ হয়ে ফল দিতে চাই 

ছায়া হয়ে তাপ দেয়া রোদকে থামাই

বর্ষায় তার পাশে বর্ষালি ছাতায় 

ভরা চুল হয়ে বাচি তার উদাম মাথায়


কার সাথে মেতে উঠে আদিম খেলায় 

রাত বৃষ্টি থরথর শরীর বেলায়

ফুলের উপর নামে ঘুম টিনের চালায় 

আমি তারে ন জিগাই 

আমি তারে ন জিগাই


হাতচুড়ি বেজে উঠে কোন রাতে লেগে 

তার মন নেচে চলে কোন আকাশ মেঘে 

তার চুলের ঘ্রাণ পেয়ে কে উঠে জেগে

তার শরীর সবুজ পায় কোন আবেগে 

না জিগাই 

ন জিগাই 

আমি তাহাকে


সূর্যোদয়ের স্বপ্ন হয়ে থাকি তার পাশে

সবুজে অবুঝ হয়ে জমে থাকি ঘাসে 

ঢেউয়ের তীর হয়ে হাসি উল্লাসে

শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪

ভালোবাসি পুরোপুরি

 ভালো বাসাবাসি— পুরাতন কথা

এসো আমরা নতুন হই 

শরীরের পিরামিডে গল্পের নদী  

শিশুর হাতে জমা রাখা নতুন বই 

গল্পের মাটিতে রোপণ করি আশা 

পাতার সবুজে বানাই কপোত-কপোতী বাসা 

ফসলের স্রোতে ভেসে আসা হাসি অনাবিল চাষা 

চোখে রাখি পাগলা নদী 

ঠোঁটের নালায় তিতাসের জল

পানা দুজন ভেসে যাই যাযাবর দল 

ভেসে ভেসে যাই 

হেসে হেসে পাতার ঘরে সবুজ সাজাই 

রোদে তাপে বৃষ্টি

মনেধরা সৃষ্টি 

নতুনে নতুনে আরও নতুন হই 

না বলি অবলা কথা

গাছের শেকড়ের গভীর ব্যথা 

দেখাজন্ম যথাতথা

বোঝাপড়া হোক ভালো 

শরীরের স্রোতে ডুবে থাকি— পানকৌড়ি আলো

শনিবার, ১ জুন, ২০২৪

রাধা তুমি কৃষ্ণমনে

 অলঙ্কার তোমার অঙ্গে 

কলঙ্ক তোমার সঙ্গে 

কৃষ্ণ তোমার প্রানে

তুমি প্রিয় সুর কৃষ্ণের গানে

রাধা তুমি পৃথিবী

পৃথিবীর তিনভাগের জল

পৃথিবীর তুমি বৃক্ষ 

বৃক্ষের তুমি পরিপক্ক ফল 

কলঙ্ক চাঁদে

কলঙ্ক তোমার কাধে

কৃষ্ণের বাশি তোমার কবজ 

এমন নেই কোনো ফাদ যা তোমারে বাধে


তাহলে?


চলো দেহস্নানে যাই প্রভাতে 

মাখুক তারা কলঙ্ক দেশবাংলার সভাতে

সুযোগ করে বসতে দিও

 ক্ষয়ে যেতে চাই

ক্ষয়ে যেতে আসছি 

কোন রোদের তাপে ক্ষয়ে যাবো 

তা নিয়ে ভাবছি 

বরফ নদী বাষ্প হয়ে 

পৃথিবীতে থাকছি 

কল্পনায় গল্প হয়ে 

কথাজলে ভাসছি 

পাতার সাথে পাতানি আছে 

তা জেনে আসছি

পাতার ভেতর জন্ম আমার 

সবুজ আমি দিনে দিনে বাড়ছি 

আমার ভেতর একলা আমি 

একের ঘরে হাটছি 

হাটতে হাটতে সাগর তীরে 

বালুর বাসা বাধছি 

সুযোগ হলে 

দেখে যেও 

আমার ভেতর তোমার ছবি 

খুব যতনে জলিম করে

নিয়ন রঙে আকছি