শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২১

মাটি চায় জল

 ওরা সন্তানের মতো ভাবে 

কাশফুলে বৃষ্টি পড়ে

জেএল দেওয়া চুলের মতো উড়ে যায় পাখি

আবার বদনাম নামে সূর্যের পথ ধরে

লাল থেকে আরো লাল হয়ে উঠে প্রতিবাদ 

পাওয়ার ইচ্ছে কাদামাটির নিচে বাইম মাছ

ফ্যামিলির কাছে কম কথা দেওয়া হয় সারাদিন

পানি আর পানি 

জল আর জল

চলো এখনি উঠি পড়ি শান্তিনৌকার খোঁজে 


জীবন তো একটাই

জীবনের নিচে সাদা কাশফুল 

কারো জন্য বিষয় ও বাসনা বিসর্জন দিতে হয় না 

দূরে 

অনাথ চোখের ঠিক সীমানার কাছে

কানি বক 

একই চাঁদ 

একই আকাশ 

ছিন্ন দুটি আশাগল্প 


যাতনা জোৎস্না খেলা করে মনে

নোনা বর্ষায় দুটি চোখ খুঁজে খুঁজে হয়রান

এখনও খোঁজ তুমি আমায়

শীতল হাওয়ায় কলমি ফুলের ধ্যানতৃপ্ত পাখায় 

একটি পাখি একা একা উড়ে আসে ছায়াপথ ধরে 

নদীর কিনারে

ছাদ লাগবে না প্রিয়

নৌকায় ছায়ায় চড়ুইভাতি 

আচ্ছা আমরা যাই

আমরা যাচ্ছি

অজানা পথে

লোকালয়ে 

একটি পাখি একা একা উড়ে গান গায় নদীর কিনারে 


মেঘ আসে তোমার দেখাপথে 

অন্ধকার নামে 

তুমি ডুবে যাও 

আমি ডুবে যাই 

মিথ্যা পৃথিবীর মিথ্যা ছলনায়

ছনচালে বাগানমাখানো বাড়ি 

মাঠের মাঝখানে একা এক দোকানে 

চাওয়ার আলোয় পাওয়ার কড়চাঘর 

নিভে গেলে কথা মুখোমুখি বসা

রাগ ঘৃণা হিংসা রেখে আসি জলের আগুনে 

গাঙচিল গতির নিচে রোদ পোহাতে পোহাতে ফেরারি 

নীরবতা শুদ্ধ ফুল চাষ করে


এমন দিনে রবে না তোমার ঘরমুখো আলো 

রবে না আমাদের

চুলখোলা শ্যামাঙ্গিনী ঢেউয়ের মতো বাজে বারবার 

ঠিক একদিন পেয়ে যাবো

দ্বীপ-আশা ফুল ফল


পাখি ডাকে সকালবেলা 

ব্রিজের উপরে হাওয়াইমিঠাই উচ্ছ্বাস 

এক তুমি'র প্রেমের জিহাদ কালো চশমা 

মাঝির বৈঠাতে আমাদের ভবিষ্যৎ 

লেখা না হোক আর কথা ছন্দমালা

এক দোকানির একা বসে থাকা

দ্রৌপদীচোখ জানে গোবিন্দ মহান

জায়েদা জানে না কে এই ইমাম 

কে এই ইমাম হাসান

তরবারিকে প্রেমের সাঁকো করে 

চলো হেটে যাই প্রানবিক পথে


কানি বক ফিরে আসো তুমি 

ফিরে তাকাও 

বেলা বয়ে যায়

যেতে হবে বহুদূর শান্তিযতির সীমায়

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন