বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

তাবির তার নাম

তাবির। তার নাম। তাবির তার নাম। সন্ধ্যা হলে বাবলা গাছের সরাসরি নিচে আসেন। পাখি তখন ঘরে ফিরতে শুরু করে। শব্দধ্যান। তাবির এই সময় শব্দধ্যান করেন।

বাবলা গাছের পাশেই তার ঘর। ছোট্ট একটা ঘর। একজন থাকতে পারে এমন ঘর। রুমও বলা যেতে পারে। তবে ঘর বলা সুবিধাজনক।

কয়েকদিন পর পর এক মহিলা বাবলা গাছের সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। তাবিরকেই গালিগালাজ করে। তাবির তখন ঘরের ভেতরে পরমের ধ্যানে মগ্ন। কোনোদিন আবার খুচরো কাজে ব্যস্ত থাকেন। কোনোদিন তাবির মহিলার সাথে অংশগ্রহন করেন। তাবির গালিগালাজ করেন না। মহিলাকে গালিগালাজ করার সুযোগ করে দেন।

মেজর। তাবিরের বন্ধু। সে প্রায়ই তাবিরের বাবলা গাছের নিচে আসে। রাগ প্রকাশ করে মেজর। মহিলার প্রতি রাগ প্রকাশ করে। মহিলাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিতে চায় মেজর। তাবির নিষেধ করে।

অনেকদিন হয়ে গেলো মহিলা আর আসে না। তাবির মেজরকে নিয়ে মহিলার বাড়ি খুজে বের করলো। মহিলা আর নেই পৃথিবীতে!

তাবির আর বাবলা গাছের নিচে থাকেন না। তিনি এখন নদীর কিনারায় জাম্বুরা গাছের নিচে রুম করেছেন। ঘর করেছেন। ঘর করেছেন বলাই সুবিধাজনক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন