জীবনে প্রথমবার ট্রেনের মালগাড়ি করে ঢাকায় যাওয়ার সুযোগ হলো— আর সেই সুযোগটি করে দিলেন বড় ভাই জীবন আলমগীর। ইনি আমাদের নাসিরনগরের জামাই, আর ভাইয়ের বাড়ি হবিগঞ্জের লাখাই। অত্যন্ত সোজা-সরল, ভদ্র ও ভালো মানুষ। পেশায় বিআরএনবির কর্মী।
মালগাড়ির লোকোমাস্টারের পাশে বসে যখন ট্রেন এগোচ্ছিল, ঠিক তখনই মাথায় আসলো এক নতুন দারুণ আইডিয়া। ভ্রমণ ভালোবাসা মানুষের জন্য এক টুরিস্ট ট্রেন— একেবারে আলাদা ডিজাইনের!
🚆 আমার কল্পনার টুরিস্ট ট্রেন:
ঢাকা → কক্সবাজার
ঢাকা → সুন্দরবন
ঢাকা → পঞ্চগড়
কক্সবাজার → টেকনাফ
বান্দরবান → রাঙামাটি
রাঙামাটি → খাগড়াছড়ি
🚉 বিশেষত্ব:
মালগাড়ির লোকোমাস্টার যে কেবিনে বসেন, সেই স্টাইলের আদলে তৈরি হবে একটি ছোট কিন্তু আরামদায়ক কক্ষ।
দু’পাশে থাকবে দুই সেট আরামদায়ক সোফাসেট
রোদ-বৃষ্টি থেকে সুরক্ষার জন্য থাকবে বিশেষ কাভারিং।
৩–৪ জনের আরামদায়ক ঘুমানোর ব্যবস্থা।
প্রতিটি টুরিস্ট স্পটে ২–৩ দিন থাকার সুযোগ।
পথে পথে রাত্রিযাপনের সুন্দর লোকেশন।
ভাবতে কেমন লাগে? চলন্ত ট্রেনের কাঁচের ওপারে পাহাড়, সমুদ্র, নদী, জঙ্গল— আর ভেতরে থাকছে ছোট্ট এক ‘মোবাইল রুম’— আস্তে আস্তে বয়ে যাচ্ছে সে— দৃশ্যের সাথে তাল মিলিয়ে।
বাংলাদেশের পর্যটনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে—“দ্য ট্রাভেলিং কেবিন ট্রেন”