—একটা কথা বলতে চাই, আপনি মাইন্ড করবেন বাসুদেব?
— আগে বলো, তারপর মাইন্ড করি।
—হা হা হা, বাসুদেব আপনি রসিকতার রাজা।
— আপনাকে অনেকে লম্পট, নারীলিপ্সুক বলে।
— হা হা হা, যারা বলে অতিসত্য কথা বলে, তবে সত্য বলে না।
— কেমন বিষয়টা বাসুদেব, ঠিক মাথার উপর দিয়ে গেলো?
— অর্জুন গাছের ছাল থাকে না, জানো তুমি?
— জ্বি বাসুদেব, হরিণের সুস্বাদু মাংস যেমন হরিণের শত্রু তেমনি অর্জুন গাছের ছালের অধিক উপকারিবোধ তাকে গাছের সাথে থাকতে দেয় না।
— যে নারী আমাকে অধিক ভালোবাসে সেই আমার উপর কলঙ্কের অলঙ্কার লেপন করে যাতে শেষপর্যন্ত আমার শরীরে ছাল থাকে।
— শোনো অর্জুন, তোমাকে একটা কথা বলি।
— বলুন বাসুদেব, আমার মনোযোগ আপনার দাসত্ব মেনে নিতে প্রস্তুত।
— জোলেখা ইউসুফকে জেলে দিয়েছিল, অনেকে অনেক কারন বলে থাকে, মূল কারন আরেকটা— জোলেখা চেয়েছিল ইউসুফের সৌন্দর্য অন্যকোনো নারী না দেখুক এবং জোলেখা প্রায়ই চুপিচুপি কারাগারে ইউসুফকে দেখতে যেতো।
— ও মাই গড! একি বললেন বাসুদেব!!
— শোনো অর্জুন, নারীর দেয়া আঘাতেও মমতা থাকে, সেই মমতা ধারণ করতে পারলে মায়ার জগতে যাবে তুমি— মায়া থেকে এই মহা জগতের সৃষ্টি— মহাকাল মায়ার মোহনজালে টিকে আছে।