বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

স বাই কে বল খু ল তে বলে

 সবাই কেবল খুলতে বলে

খেলতে গ্যাছে চাঁদ

চোখের দেশে ফুলের বাগান ঠোঁট কাঁপানো রাত

বিজন বনে হরিণ নাচে

পাতার ফাঁকে আলো

পাপড়ি ধরে প্রেমের ধরন

দেহের ফলন ভালো


খুলতে খুলতে জোছনা দেখা 

সাপের মতো নদী

তলদেশে এটেল মাটি 

মাটির আরাম গদি

গভীর থেকে গভীরে যাওয়া 

আরাম বনে আরাম পাওয়া 

গরম নরম বেদি

খুলতে খুলতে চাবি তালা

গন্ধে ব্যাকুল দেহ মালা

বাড়তে থাকে পারদ জ্বালা 

তুলসী বনে রাধা কাঁপে

কাঁপে তুলসী কালা


সবাই কেবল খুলতে বলে 

বলে তাকে প্রেম 

কামে সবুজ মানবদেহ জানে রাধাশ্যাম

ভালো লাগা নীলের জলে দেখা বকের সারি

খুলতে জানা নদী জানে সাগর আসল বাড়ি

সাগর থেকে সাগরে যাওয়া ওপেন টিউন মেটার

খুলে ফেলার সুরা কেরাত মন্দ নয় বেটার

আঙুল আঙুল খেলার পালায় তার হয়ে যায় গিটার


সবাই কেবল খুলতে বলে 

খেলতে পারে ধীজন 

খেতে গেলে গলায় ধরে 

চোখের নেশায় ভোজন 

ভোজন রসিক সাতার জানে 

জল জোয়ারে ভাসে 

খুলতে জানলে বেহা হাড় সোজা হয়ে হাসে

মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

ব স ন্ত এসে গ্যা ছে

 সিএমসিতে এলোমেলো দাঁড়িয়ে আছেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তার কাছে জানতে চাইলাম ফটোকপির মেশিন কোথায় পাওয়া যায়। তিনি আসমানে চোখ তুলে এলোমেলো উত্তর দিলেন। 


আপনারা পুলিশ যারা সবাই কী রেগে কথা বলেন? 


পুলিশ হাসি ☺ দিয়ে বললেন 'আমি কী রেগে কথা বললাম?' 


আমি হেসে উত্তর দিলাম, 'না'— আপনি বসন্তের ফুলের ❀ মতো কথা বললেন। 


তারপর দুজন একসঙ্গে চা খেতে গেলাম— চায়ের কাপে নেমে এলো আমাদের বসন্ত— বসন্ত এসে গ্যাছে

শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

হাওর

 বর্ষাকালের হাওর গর্ভবতী ফুল নারী মা— শীতের হাওর পরিশ্রমী বাবার মতো কান্দে জোয়াল নিয়ে কুয়াশা গতরে মেখে দায়িত্বের দিকে ছুটে চলা এক মহাপ্রাণ

শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

জেনে রাখো পুত্র আমার

 জান্নাতের দুটি টিকেট আছে। একটা তোমার, আরেকটি যাকে ইচ্ছা তাকে দিতে পারবে। জান্নাত মানে অফুরন্ত সুখের প্রশান্তির দীর্ঘমেয়াদি আবাস— ফুলের গন্ধে শরীর ডুবিয়ে বসে থাকার মতো নাতিশীতোষ্ণ প্রাসাদ।


কাকে দিবে তুমি এই টিকেট?


তোমার সাথে যে জাহান্নামে যেতে চায় না তাকে কখনো জান্নাতের টিকেট দিবে না—পুত্র আমার জেনো রাখো তুমি। পুত্র আমার জেনো রাখো তুমি— মানুষ নশ্বর আবার মানুষই অবিনশ্বর— মানুষ কালের সন্তান আবার মানুষ থেকেই কালের সৃষ্টি। মানুষকে জানো চোখ কান নাক মুখ হাত পায়ের সমস্ত অনুভূতি প্রয়োগ করে— মানুষকে জানার কিছুক্ষণ আগেও কোনো ফাইনাল কথা বলবে না পুত্র আমার।  


মানুষ আগুন বানাবে,মানুষ তোমাকে আগুনে ফেলবে, মানুষ আবার নিজের প্রয়োজনে তোমাকে আগুন থেকে রক্ষা করবে— মানুষ নদীর মতো সাগরে মিশে যাওয়ার লোভে পাড় ভাঙে— ভাঙতে ভাঙতে বেচে যায় নদী। 


আকাশ ভেঙে মাথায় পড়বে এই ভয়ে মাটির নিচে লুকানোর ছলছল চেষ্টা করো না— আকাশ বলে কিছু নেই, মাটি বলেও আরামদায়ক কিছু নেই— মাটি এক বিশাল প্রানি— প্রান দেয় প্রান নিয়ে থাকে— আকাশ ও মাটির সাথে তুলনাহীন জীবন যাপন করো পুত্র আমার— বিশ্বাস করবে চোখের সামনে এক পৃথিবী মনের সামনে পৃথিবী হাজার। 


রঙের বাহারে পোকা হয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হবে না পুত্র আমার— বটগাছের সুশীতল ছায়ায় ঘুমিয়ে যাবার আগে নিতাই গঞ্জে যাওয়ার কথা মাথায় রেখো— চোখের সামনের সমস্যাকে সরল গনিতের মতো সমাধান করবে— সমাধান হবেই— সময় লাগবে— অপেক্ষা করা একটা যোগ্যতা— বেচে থাকার আরেক নাম অপেক্ষা— মৃত্যুর সোনালি ডানার চিল এক অপেক্ষা— অপেক্ষা নিজগুণে মহাকাব্য মহাকাল। 


হাতকে করে তুলবে উপকারী— মন যেনো হয় ফুলের ❀ বাগান— চোখ দিয়ে তাই দেখবে যা দেখা যায় না— কথা যেনো হয়ে উঠে বিপন্ন-বিস্ময়ের ভেতরে এক বিন্দু হলেও আশার উচ্ছ্বাস— উপকারীকে সূর্যের মতো দূরে রাখবে প্রেমের মতো সুরে ডাকবে পুত্র আমার। 


পৃথিবীর কোনো কিছু শতভাগ শান্তি কিংবা অশান্তি দেয়ার ক্ষমতা রাখে না— রাত চলে যায় বলে দিন আসে না— দিন আসে বলে রাত চলে যায় না— দিন এবং রাত তোমার দুটি চোখ পুত্র আমার— নাকের দেয়ালে তুমি পৃথিবীর মানুষ— পৃথিবীতে প্রাসাদ বানাবে অবশ্যই— তবে মনে রেখো প্রাসাদের মতো তুমিও কোনো মালিকের অধীন— যা আছে তা যেমন সত্য যা নেই তাও তেমন সত্য— সত্যের নির্মান ক্ষমতা যেনো তোমার থাকে— আমার কথা যেনো তোমার ছায়া বা মায়া না হয়ে উঠে সেইজন্য আমার কথা তোমার চোখের সামনে মনের আয়নায় ল্যাবরেটরি হিসাবে তুলে ধরলাম— নির্মানের দায় কিংবা মুক্তি কেবলই তোমার— চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস— মানুষ কেবল প্রবাহের ছায়া থেকে বানানো ছবি— ছায়াছবি।