কালো চশমা পড়ে তুমি ঘোলা করছো জল
প্লান যিনি করছেন বসে ঘুরিয়ে দেবেন ফল
কালো চশমা পড়ে তুমি ঘোলা করছো জল
প্লান যিনি করছেন বসে ঘুরিয়ে দেবেন ফল
মাছধরায় আনন্দ নাই
আনন্দ পাই মাছ খেতে
জলের সংসার করতে গেলাম মাছের চক্রে
মাছ হয়ে মানুষ খাই
মানুষ হয়ে মাছ খাই
আটকে গেলাম দুনিয়ার এই বড়শির বক্রে
বাঘের বাচ্চা— হরিনের জঙ্গলে আগুন লাগলো!
বাঘ— তাহলে বেশ ভালো।
বাঘের বাচ্চা— কেনো ভালো!?
বাঘ— হরিণ বাচতে চাইবে এবং আমাদের জঙ্গলে চলে আসবে: কষ্ট করে আর হরিণকে ধরতে হবে না।
বাঘের বাচ্চা— শুধু কি হরিণ আসবে? আগুন আসবে না!?
আগুনের প্রশ্নে বাঘ চুপ। আসলেই তো— হরিন আসার আগেই আগুন চলে আসবে! বাঘ দৌড়ে গেলো দরবেশের কাছে। দরবেশ জঙ্গলে ধ্যান করছেন। দরবেশের ধ্যান ভাঙানো অন্যায়। কিন্তু সবচেয়ে বড় ন্যায় হলো প্রান বাচানো।
বাঘ— হে মহান দরবেশ, হরিনের জঙ্গলে আগুন লেগেছে!
দরবেশ— তোমরা তোমাদের বাসস্থানে যাও, দেখছি আমি কি করা যায়।
দরবেশ লোকালয়ে গেলো এবং জঙ্গলে আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করে। দলে দলে মানুষ নেমে আসে জঙ্গলে এবং মানুষের সর্বশক্তি দিয়ে আগুন দমন করে। আগুন নিভে যায়—জঙ্গলে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসে— দরবেশ আবার ধ্যানে বসেন— বাঘ আবার হরিণের মাংস খাওয়ার জন্যে অস্থির হয়ে উঠে।
পাখি থেকে ঝরে গেলে পালক
মরে যায় না পাখি
মরে গেলে পাখি
বেচে থাকে না পালক
পালক হয়ে পাখি আকি
পাখি হয়ে বারবার পালকে থাকি
বাংলা আবার এক হবে
আজ না হয় কাল
শকুনি তোমার সময় শেষ
বাংলার হাতে চাল
আমরা ভালো নেই।
আমাদের একটা স্বাধীন ভূখণ্ড লাগবে।
আমরা এখন যে ভূখণ্ডে আছি তা আমাদের শান্তি দিতে পারছে না— শান্তির নামে আল্লাহু আকবর বলে আমরা আলাদা হলাম।
আমাদের নতুন ভূখণ্ডের নাম পাকিস্তান!যেনো একেবারে পাক হয়ে গেলাম— আর কোনো নাপাকি লাগবে না মোর গায়।
আমরা ভালো নেই।
আমাদের না খেয়ে থাকতে হয়।
আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চায় তারা, এমন বৈষম্য আমরা মেনে নিতে চাই না— আমাদের নিজস্ব ভূখণ্ড লাগবে। আবারও শান্তির নামে বৃটিশ মনোনিত মানচিত্র থেকে আমরা বের হয়ে আসলাম। আমাদের দেশ হলো— নতুন দেশের নাম বাংলাদেশ!
বিজয়ের পতাকা পতপত করে আকাশে উড়লো— অনেক কান্নার নদী সাগরে গিয়ে মিশলো— সাগরজল বাষ্প হয়ে ফিরে এলো আবারও+ফিরে এলো আমাদের চোখে!
আমরা ভালো নেই।
আমাদের নতুন নিয়ম লাগবে।
পুরাতন নিয়ম সব বাদ। যিনি নতুন নিয়ম আনতে গেলেন তাকে হত্যা করো— সময় সুযোগ করে তাকে লাল সূর্য পতাকার মতো আকাশে তুলে দেয়া হলো। মুছে ফেলো তার সব স্মৃতি— তাও করা হলো থরেবিথরে।
এলো নতুন সরকার।
নতুন সরকার এসে বললেন আগের সরকার ভালো ছিলো না— আমাকে সময় দেন— আমি সব ঠিক করে দিচ্ছি— জনগণ তাকে কয়েকদিন সময় দিলো— তাকেও আরও আরও সময় না দিয়ে তার শরীর থেকে মাংস আলাদা করে ফেলা হল— পড়ে থাকলো কেবল তার পরাজিত হাড় সমগ্র!
শান্তির নামে আবারও এলো নতুন কবি— তিনিও কবিতায় কবিতায় বললেন আগের সরকার ভালো না— আমিই একমাত্র ধোয়া তুলসীপাতা— এমন ধোয়া তুলসীপাতাকেও চলে যেতে হলো ক্ষমতার পরপারে! স্বৈরাচার স্বৈরাচার বলে মিডিয়া কাপালেন ক্ষমতাসুন্দর সরকার!
তারপর দেশরক্ষার নামে তিনিও রোপণ করলেন ধান, নদীতে চললো নৌকা— ভাবলাম হয়ে যাবো আমরা মাছেভাতে বাঙালি— শান্তি এবার আমাদের সুনিশ্চিত— কুমড়ো ফুলের শান্তি ঠিক তখনো এলো না— এলো বুকভাঙা দীর্ঘশ্বাস!
আমাদের দীর্ঘশ্বাস দূর করে তরতাজা শ্বাসে ভরিয়ে দিতে আমাদের ফুসফুসে এলেন নতুন লাঙ্গল নৌকা জোয়াল—এসেই তিনি বাতাসে রাখলেন আগের সরকার নাকি জঘন্য অপরাধ— তিনার সরকার বেরামে আরাম তুলতুলে গাল— শিশুর মতো নিষ্পাপ।
গরু হাটতে লাগলো—
জমিতে উঠলো ফসল— যে ফসল বলছে আগের সরকার কেবল লুটপাট করেছে— আমরাই কেবল ফসলে উন্নয়নশীল পাঠচক্রের আয়োজন করেছি— এমন উন্নয়নশীল পাঠচক্র আয়োজনকেও চলে যেতে হলো!
মিউজিক চেয়ারে এবার বসলেন নতুন গায়ক যিনি শান্তির নামে রচনা করছেন পুরনো লিরিক— মিউজিকের তালে তালে আমরা সবাই মাথা ঝুলাচ্ছি— আর বলছি, আমরাই বেস্ট— আগের সবকিছু দুর্নীতি আর মন্দকাজের ওয়ান্ডে এন্ড টেস্ট!