সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪

মাটির ঘর

 

মাটির ঘর— জানালা থাকে— থাকে দরজা

মাটির ঘর— আলো থাকে— থাকে বাতাস 

মাটির ঘর— থাকে মানুষ— পশুপাখি থাকে 

থাকে অনেক কিছু— আধুনিক কিংবা প্রাচীন 

মাটির ঘর— থাকে আমার দেহ যাকে ভালোবাসি রোজ

আদর করি— গোসল করাই—খাবার খাওয়াই


মাটির ঘরে মৃত আমি সব কিছু করি

জীবিত হয়ে একদিন চলে যাবো সবকিছু ছাড়ি 


দেহ যার তার কাছে যাবে 

আমি যার যাবো তার কাছে 

আসা যাওয়া 

যাওয়া আসা 

ফুল হয়ে গাছে— গন্ধ হয়ে ফুলে ❀ 

জল হয়ে মুসাফির কূল থেকে কূলে

আল্লাহ

 


আল্লাকে দেখিনি

দেখেছেন আপনি 

আল্লাকে তো চিনি না 

চিনিয়েছেন আপনি 

আপনাকে দেখার পর 

আল্লাহকে দেখার ইচ্ছা ন করি 

আপনাকে দেখে দেখে আল্লাকে দেখি

শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪

অর্জুন কিংবা কৃষ্ণ



অর্জুন— রাধা আপনাকে ভালোবাসে কেনো?

কৃষ্ণ— রাধা আমাকে ভালো না বেসে থাকতে পারে না!

অর্জুন— কংস আপনাকে ঘৃণা করে কেনো?

কৃষ্ণ— আমাকে  ঘৃণা করা ছাড়া তার আর কোনো উপায় নাই!

অর্জুন— তাহলে, রাধা আর কংসের মধ্যে পার্থক্য কী?

কৃষ্ণ— একজন আমাকে দুনিয়া থেকে সরাতে চায়, আরেকজন তার দুনিয়াতে আমাকে বন্দী করতে চায়।

অর্জুন— তাহলে তো কেউ আপনাকে চিনতে পারেনি!

কৃষ্ণ— দুইজনই আমাকে বেশি চিনে ফেলেছে! 

অর্জুন— তাহলে আমি আপনাকে কম চিনি?

কৃষ্ণ— হা হা হা, তুমি আমাকে প্রশ্ন করছো, তারা কেউ আমাকে প্রশ্ন করে না।কৌতুহল থেকে প্রশ্ন, প্রশ্নের পরে আসে পরিকল্পনা, পরিকল্পনার পরে আসে সিদ্ধান্ত, সিদ্ধান্তের পরে আসে মীমাংসা। তারা আমার ব্যাপারে মীমাংসিত। আর তুমি কৌতুহলী, অর্জুন।

বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪

পাড়

 


ওহে নদীর পাড়

  আমার পাড়ে তুমি এলে

    কে হবে পারাপার

সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪

আরোহী ঠোঁট

 

বিষাদমাখা গাছ— বিষ ছাড়ে বাতাসে 

তার ছায়ায় মন যেনো না যায় আমার 

বিষাদমাখা রোদ— তাপ ছাড়ে ছায়াতে 

তার ছায়ায় শরীর যেনো না মিশে তোমার

নরম তুলো হয়ে

শীতের তুলতুলে রোদ হয়ে 

বসন্তের তুমুল মিষ্টি বাতাস হয়ে

পেছনে ফেলে গরম হাওয়া— দিনে কিংবা রাতে

ভুলে গিয়ে শ্মশান চোখ— ঘরে কিংবা বাইরে 

বসো আমার চোখে 

বসো আমার ঠোঁটে 

বসো আমার শরীরে

শরীরের ঢালে ঢালে পাতায় পাতায় বসো

পাপ করতে ভয় পেলে— দূরে থাকো

ফেরেশতা হতে চায়লে— কাছে আসো 

দূরে থাকা— কাছে আসা

কাছে আসা— দূরে থাকা'র ঠিক মাঝখানে

                      ঠিক মাঝখানে ঝুলে থাকে মানুষ 

মানুষ হয়ে ঝুলে আছে মানুষ শীতের কারাগারে

ঠোঁট আমার হয়েছে আরোহী তোমার পাহাড়ে

আরোহী ঠোঁটে বৃষ্টি মেখে যাও আরও গভীরে

সাতারে মাতাল হও কবুল সাগরে 

বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪

বেসাতি খুব সুন্দর করে


নরম তুলো আরও নরম হয়ে হাতের আঙুল 

রোদের তাপে গলে গলে গল্পকাল 

গল্প বললো কবি

কাদলে কেনো বাদলা দিনে তুমি

আগুনের গভীরে গিয়ে ভুলে গেলে শরীরবর্ন 

বর্নের সাথে বর্নের মিলনে শব্দ হয় তারপর বাক্য 

বর্ন বাক্য ভাবের বাসরে হয় নাকো ভাষা 

সুন্দরী বরফ যখন গলে পড়ে জলের শরীরে 

তখন সূর্য থেকে নেমে আসে ভাষার উৎসব 

বাহারি রাতের পাহাড়ি কথা 

খুলে সব অনুরাগ 

একের পর এক ক্রমাগত ফুলঘাত 

পদ্মিনী কন্ঠের শরীরে স্নানের হাওয়া 

ভোর হয় 

আলো ফুটে 

দুটি শরীরে নুরানি হাওয়ার এক সুর বয়ে যায়

শরীরগাছে কোকিলের দুষ্টুমি ডাক 

মন থেকে পুরাতন পাতা ঝরে পড়ে 

নরম তুলো আরও নরম হয়ে আসে মেঘের ডানায়

ইতিহাস হয়ে তারা ঢুকে পরে অনিবার্য সভ্যতায়

ওপেন ইউর মাইন্ড



চোখ বন্ধ কেনো

  চোখ খুলে দুনিয়া দেখো

    যা টানছে পেছন থেকে 

      তা সব টেনে সামনে রাখো