শনিবার, ২৯ জুন, ২০১৯

অজ্ঞান পার্টির কবলে আমাদের ট্রেন

অজ্ঞান পার্টির সাহস দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারি না। ঘটনাটি রাতের মহানগরে। আমরা যাচ্ছি চট্রগ্রাম।

সাধারনত ট্রেনের নিজস্ব বাহিনী ব্যতীত অন্য কারো কাছ থেকে কিচ্ছু খাই না। পানিও না। কিন্তু শনিবারে রাতে একটু রিস্ক নিলাম। কুমিল্লা যাওয়ার পর ট্রেনে রস মলাই উঠে। মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আমার টান একটু বেশি। রিস্কটা হয়তো এইকারনেই নেয়া। তাও আবার কুমিল্লার রস মলাই বলে কথা।

এক কেজি রস মলাই। ট্রেনে উঠার আগে রাতের খাবার খাইনি। সময় ছিল না। তবে এক কেজি দই খেয়েছি। দইয়ের প্রতিও আমার টান একটু বেশি। রমজান মাসে সেহরি খেতে উঠতাম কেবল চাক্কা দইয়ের জন্যে। সকালে দই চাক্কা থাকত না। সবার খাওয়ার পর দই চাক্কা থাকার কথা না। তাই রোজা না রাখলেও সেহরির সময় আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলা ছিল পরিবারের আরেকটি ফরজ কাজ।

রাতের খাবার না খেলেও এক কেজি দই আর চারটি আম রুপালি খেয়ে ট্রেনে উঠে পরি।

সিটে বসে চোখ বন্ধ করি। আসমানে চাঁদ। চানকে চোখে রেখে ট্রেনভ্রমন এক অমায়িক সুখবোধ জন্ম দেয় মনে। ট্রেন চলছে। হঠাৎ চোখ খুলে দেখি আমার ডান হাতে একটা ফড়িং আশ্রয় নিয়েছে। হাত থেকে ধীরে ধীরে আশ্রয় নিয়েছে আমার কাঁধে। ফড়িং তার মামার বাড়িতে বেড়াতে যাবে। তার মামার বাড়ি চট্রগ্রাম পলোগ্রাউন্ড রেলওয়ে কলোনিতে। আশ্রয় নিয়েছে ত নিয়েছে। একটুও নড়ছে না। মাঝেমাঝে পাখা নাড়ে।

তুসা সাত-আট চামচ রস মলাই খেয়ে আর খায়নি। অথচ রস মলাইটি ভালো ভালো বলে সেই বিজ্ঞাপন বেশি করছিল। যাক এক কেজি রস মলাইয়ের সবটাই আমাকে খেতে হয়। খাওয়ার পর বুঝতে পারি সামথিং রং।

কী করা যায় বুঝতে পারছি না। তাকে যদি বলি আমার  মাথার ভেতরে  বড় ধরনের সমস্যা হচ্ছে তাহলে সে অস্থির হয়ে যাবে।

হাঁটতে ইচ্ছে করছে (অবশ্যই ট্রেনের এক পাশ থেকে অন্য পাশ একবার হাঁটা দেয়া আমার হবি)।

চলো, আমিও হাঁটবো তোমার সাথে,  তুসা বলে।

না, তুমি বসো, ব্যাগ আছে না উপরে।

সে সিটে বসা।
আমি খাবারের কেবিনে গিয়ে বললাম এক কাপ পানিতে চারটা টিব্যাগ দিয়ে চা দেন। তারা সব কিছু ক্লোজ করে দিছে। তারপরও আমার জন্যে জল আবার গরম করে। চা খাওয়ার পর ভেতরের সব কিছু বের হয়ে আসতে চাচ্ছে। আমিও চাচ্ছিলাম এমনটা হোক। আরাম করে বমি করি। ভেতরের সব কিছু বের হয়ে আসে।

আমি যখন বমি করি তখন আমার সাথে কেউ নাই। কেউ নাই বলতে কাউকে রাখি নাই। কিন্তু। ফড়িংটা আমার কাঁধ থেকে লেকলেক করে আমার দিকে চেয়ে আছে। বমি করার সময় একবার সে আমার মাথায় বসে আবার আমার কাঁধে বসে। বমি করছি আর ফড়িংকান্ড দেখে অবাক হচ্ছি। ভেতর থেকে আর কিচ্ছু বের হওয়ার নাই। এবার শান্তি আর শান্তি।

একটা জলের বোতল কিনি। জল পান করতে করতে সিটের দিকে এগিয়ে যাই। আমাদের সিট ট্রেনের তেতুলিয়ায়। ট্রেনের টেকনাফ থেকে ট্রেনের তেতুলিয়ার দিকে যাচ্ছি। যাত্রী যারা জেগে আছে সবাই আমার দিকে অবাক হয়ে তাকায়। না। আমি কোনো নবী পয়গম্বরের মতো মুখশ্রী ধারন করি নাই। কারন একটাই।  ফড়িং। আমার কাঁধে এমন একটা ফড়িং দেখে তারা অবাক হচ্ছে।

সিটের কাছে গিয়ে দেখি বিশাল এক ভিড়। এক লোক অজ্ঞান হয়ে আছে। তার জ্ঞান ফেরানোর জন্য পুলিশসহ সবাই চেষ্টা করছে। তার জ্ঞান আর ফিরে না। পুলিশকে বললাম 'কিছু একটা করেন'। পুলিশ বললো 'চিটাগাং যাওয়ার আগে কিচ্ছু করার নাই।'

আসলেই কিচ্ছু করার নাই?  না, তিনি কিচ্ছু করবেন না?  কিচ্ছু করার নাই, না, তিনি কিচ্ছু করবেন না এটা জানার জন্য  অপেক্ষা করতে হয়েছে চট্রগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছানো পর্যন্ত।

সবাই নেমে গেলো যার যার মতো। আমরা সিটে বসা। আমাদের নেমে যেতে বলা হলো। আমাদের যারা নেমে যেতে বললেন তারাই সেন্সলেস লোকটিকে ট্রেন থেকে নামিয়ে সোজা এ্যাম্বুলেন্স করে হাসপাতালে পাঠান। হা হা হা। এমনটি হলে ভালোই হতো। এমন কিচ্ছু হয়নি। লোকটিকে তারা রেলওয়ের ইটের বিছানায় রেখে যার যার মতো চলে যাচ্ছে। পুলিশের কোনো খোঁজ নেই।

ট্রেনের দায়িত্বরত প্রধান অফিসার দলবল নিয়ে সাই সাই করে হেঁটে যাচ্ছে নিজস্ব আরামের দিকে। সারা রাত তারা কত কষ্ট করেছে। আমি ডাক দিলাম তাকে। জানতে চাইলাম সেন্সলেস লোকটির কী হবে। তিনি আমাকে রামায়ন মহাভারত কুরান হাদিস ইচ্ছামতো বুঝালেন। আমিও বুঝলাম। আমাদের মাথাও ঠিকমতো কাজ করছিল না। কারন বমি করলেও রস মলাইয়ের সাথে মেশানো অজ্ঞান ইফেক্ট কিছু হলেও ত মাথায় রয়ে গেছে। বুঝতে ছিলাম। তাদের সাথে কথা বলে কোনো ফায়দা হবে না। বন্ধুকে ফোন দিলাম। বন্ধু সেকেন্ডে হাজির। বন্ধুর বাসায় স্নান করে একটা বিশাল ঘুম দিলাম। ঘুম থেকে উঠলাম একদম সন্ধ্যায়।

ট্রেন থেকে নামার কিচ্ছুক্ষন আগে ফড়িংটা নেমে যায় বা চলে যায় অথবা আমাকে বিদায় জানায় কিংবা তার ডিউটি শেষ।

সেন্সলেস লোকটি কোথায় আছে কেমন আছে জানি না, জানি রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সেন্সলেস কর্মকান্ডের জন্য সিলেট টু ঢাকাগামী উপবন ট্রেনটি মৃত্যুর মুখে পতিত হয়েছে

বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৯

জীবনের ঘাসপাতা

বলতে চাওতো অনেক কিছু
কিছুই বলোনা
না বলা সেই কথামালা জেনেও জানি না

এক হাতে পাহাড়
অন্য হাতে নদী
মাঝ মনেতে সমুদ্র এক করে উড়া উড়ি
শুনতে গেলে তোমার কথা ডুবে যাবে তরী

থাকো তুমি তোমার মতো যেমন থাকে আকাশ
পাতাঘরে এসো বন্ধু হয়ে রাতের বাতাস

বুধবার, ২৬ জুন, ২০১৯

পতেঙ্গার জলজোয়ার

যেখানে জাহাজ ভিড় করে সেখানে জল থাকে। জল থাকলেই জাহাজ ভিড় করে না। জাহাজের এক‌টি নির্দিষ্ট গতিপথ আছে। নির্দিষ্ট গতিপথ ধরে সীতাকে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়েছে। সে পাশ করেছে। রাম পরাজিত হয়নি। কারো জয় আকাশে উড়া কারো জয় উড়োজাহাজ নির্মান করা।

বেহুলাকে মানুষের ঘরে ঘরে যেতে হয়নি। রাজার শাস্তি রাজার মতো প্রজার পুরস্কার প্রজার মতো। মানুষ একটি জাহাজ যার জলের চেয়েও গতিপথ বেশি প্রয়োজন।

পতেঙ্গার আকাশে পোস্টপেইড বাতাস। সাগরের ঢেউ ত আছেই। তারও রয়েছে নিজস্ব জাহাজ। জাহাজের কারনে পতেঙ্গার কোনো একটি অঞ্চলকে মানুষের গ্রাম মনে হয়। মনে হয় ফুল পাখির দেশ।

অপেক্ষা করে করে রাত তালা দিয়ে অভিমান চোখে বালিশে মাথা রাখে ঘরমুখো মানুষ। শিশুরা প্রথমে শিখে অভিমান। তারপর কান্না। তারপর শিখে মিথ্যা বলা। শিশুরাও পতেঙ্গার কাছে এসে ঢেউয়ের মতো শিশু হয়ে যায়। জোয়ার আসে ঢেউ বাড়ে জোয়ার চলে যায় ঢেউয়ের পাখনা তখনো থামে না।
জল থেকে ঢেউ
ঢেউ থেকে জীবন আর জীবন থেকে আমাদের ডোমেস্টিক ছায়া।

শুক্রবার, ২১ জুন, ২০১৯

বলবো তোমার প্রেমিক আমি

তোমার চোখে বৃষ্টি কেমন
ভেবেও আমি ভাবি না
তোমার চোখে রোদের খেলা
দেখেও আমি দেখি না

একলা আমি সাগর তীরে
সাগর আমি সাগরমুখী
পেছন থেকে স্মৃতির খেলা
গল্প আমার লুকোচুরি

আকাশ বেয়ে চাঁদ উঠে
মেঘও তার প্রতিবেশী
পেছনে সব উড়াল পাখি
সমাজ নিয়ে দারুন খুশী

বয়ে চলা জীবন নিয়ে
প্রশ্ন করি উত্তর লিখি
বর্ষাজলে বেহুলা ভাসে
স্বর্গ কোথায় স্বর্গ খুঁজি

জীবন যাবে জীবন রবে
আসবে তুমি আসবে আমি
আবার যখন দেখা হবে
বলবো তোমার প্রেমিক আমি

চলছে গাড়ি যাত্রী তারই

চলছে ট্রেনের মোড়ক পেঁচানো পলিজিনি গাড়িখানা
বাতাসলগে আজব শহর জ্বিন আলাদিনের আস্তানা
ট্রেন থেকে অনেক দূরে শ্রমিকের ঘর বাড়ি
মামলার সুখে আমলা এখন অপরাধমাখা গাড়ি
মাঝখানে দ্বীপের মতো রোদেলা হাসি নারী
ঠোঁটের ভেতর ঘর বেঁধেছে বহুগামী নদী
সাগর উত্তাল পাতালে নেমেছে পাহাড় প্রিয় দিদি
পাহাড়ে পাহাড়ে পাখি কলরব জমিনে মানুষ রাজা
রোজ মরছে ঘামের রক্ত চেতনার বাড়ছে সাজা
কলাশিশ্ন জিংলা নিয়ে বাড়ছে বিপ্লবী
বাড়ছে ফলের রংকালার বাড়ছে ভংবাদী
দোয়া কবুলের নামে বাড়ছে আমিন আমিন রব
হুজুর খাচ্ছে মজুরের ঘাম বাড়ছে লেবাসের জপ
আবহাওয়ার খবর দিচ্ছে ভাঙ্গা কলের গান
ঝরাপাতার পেঁচানো রোগ ভ্যানিটি ব্যাগের প্রান
বিপ্লব হয়েছে বিনোদন সিনেমা তেলাপোকা সাহস
দলাদলির ঘর সংসার সুদ কাঞ্জি পাট্টা চেলি চাহস

বুধবার, ১৯ জুন, ২০১৯

সত্য

মিথ্যাকে প্রমান করতে হয় সত্য দিয়ে, সত্য সার্টিফিকেট না পেলেও সত্য

লেখক

যারা বলে জনপ্রিয় লেখা ভালো হয় না জনগনের জানা প্রয়োজন তারা কিন্তু জনগন না

শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০১৯

প্রেমিকের কামিন

রাধামন পাতামন বাতাসে নড়ে
বৃন্দাবন উষ্ণপন কালা জলে পড়ে
কলসিন্দুর কদম ডালে আষাঢ়ী উদাম করে
কালকেতু ঘরে পর পরকীয়া ডরে
উচাটন অনাথা আলপিন সুরে
মনগাছ পাতা ছাড়ে থরেবিথরে
মনে থাকে কামজ্বর সমাজে আকাশ
কৃষ্ণপ্রান ডেকে ডেকে ডাহুক হতাশ
রাধাস্তন মরুভূমি হাতঘাস বিহীন
ডুবে ভেসে মরে যায় প্রেমিকের কামিন

বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০১৯

রাস্তাঘাট খোলা থাকুক

অনেক কাল সয়ে রয়ে দেখেছি মানু‌ষের কঙ্কাল বড় গাছের ছোট পাখি
গাছের পাথর থেকে আকাশগঙ্গা পাড় পর্যন্ত মানুষ এক আজব প্রানি
মানুষের ঘর থাকে ঘরের অনেক দূরে
মানু‌ষের প্রেম থাকে প্রেমের ভেতর শরীরের ত্রিসস্তিশাল্কো ছাড়িয়ে
ভোর হলেও রাতের ডাক থেকে যায়
নদী ডাকলেও ভাঙনের শব্দ সিনেমার পর্দায়
কোনো বিষয়বস্তু থাকলেও ক্যামেরার কালার মন্দ
ক্রিকেট খেল
ফুলবট খেল দেখতে দেখতে পদ্মা মাতৃত্বের শক্তি হারায়
বাদাম বিক্রেতা বাদাম
আলু বিক্রেতা আলু
টুপি বিক্রেতা টুপি বিক্রি করেই চলেছে
অধ্যাপক বিক্রি করে চলেছে শিক্ষা
টিএসসির হকার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকার হয়েছে বহু শতাব্দী আগে
আমরা কেবল খেলা দেখি
আমরা কেবলই খেলা দেখি খেলার অনেক পরে

শনিবার, ৮ জুন, ২০১৯

রত্না আম

রত্না। আমের নাম। পৃথিবী বিখ্যাত আমআলফনসো ও নীলম থেকে শংকরায়নে রত্না আমের জন্ম। ভারতের মহারাষ্ট্রের একটি আঞ্চলিক গবেষনা কেন্দ্র থেকে তার সৃষ্টি। রত্মা আমের বড় সাইজের ওজন প্রায় তিন শত পনেরো গ্রামের মতো। রত্মা আম গাছটি ঝোপাল তবে খুব বড় হয় না, বলা যায় মাঝারি আকৃতির।

বাংলাদেশে এই রত্না আমটি অধিক উৎপন্ন হয় রাজশাহী অঞ্চলে। রত্না আমের গন্ধ চমৎকার সুমিষ্ট কিন্তু খেতে খুবই পানসে। অর্থাৎ অনলাইনের নিউজ শিরোনামের মতো রত্না আম বুক দেখায় পীঠ দেখায় কিন্তু হৃদয় দেখাতে পারে না। তাই রত্না আম হলো উপভোগের তবে ভোগের নয়।

শুক্রবার, ৭ জুন, ২০১৯

পাখি

রাস্তায় পড়ে আছে। প্রায় মৃত। পা দুটি উপরে। কাছে গিয়ে দেখি প্রান আছে। ছিও ছিও করছে। দোয়েল পাখিটিকে হাতে নিলাম। রুমে নিয়ে আসি। রুমে আনার কারন ইউটিউব দেখে ট্রিটমেন্ট করবো। রুমে এনে বিছানায় রাখি।

ইউটিউব ওপেন করে পাখিদের কিচিরমিচির চালু করি। রুম ভরে যায় পাখিদের কিচিরমিচিরে। দেখি তখনো দোয়েলটি মৃত প্রায়। কেন যেন মনে হলো চলতে থাকুক ইউটিউব চলতে থাকুক পাখি সব করা রব।

ইউটিউবের কিচিরমিচির চলছে, আমিও চললাম স্নানঘরে। বাড়ি যাবো। স্নান করলাম বেশ সময় নিয়ে। স্নান আমার কাছে বিরাট প্রার্থনা। শরীরে জল পড়ার সাথে সাথে যতটুকু শান্তি আমি পাই তার চেয়ে অধিক শান্তি যেন পৃথিবীতে নেমে আসে তার জন্যে প্রার্থনা করি।

স্নান শেষ করে দোয়েলের কাছে আসি। অবাক! বিছানায় সে আর নেই। তাহলে কী বিড়াল খেয়ে ফেললো?  রুমে ত বিড়াল নেই।

তাহলে?

ডাইনিং রুমের লতাপাতার উপরে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। আনন্দে মন ভরে গেলো! থাক তিনি তিনার মতো। আমি আমার কাজ করি। ইউটিউবের কিচিরমিচির সাথে তিনিও কিচিরমিচির করতে থাকেন।

বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি শেষ। ভাবলাম দোয়েলটিকে রুমে রেখেই চলে যাবো। তাকে একা রুমে রেখে যাওয়া মহা অন্যায়। তার বের হয়ে যাওয়ার সমস্ত পথ বন্ধ। কী করা যায়!? বিরাট দ্বিধান্বিত দ্বিধাবিভক্ত মানসিকতা শরীরে ভর করে। তাকে ছেড়ে দিতে পারি, আবার রেখে দিতে পারি। পাখিটির আনন্দ দেখে তার প্রতি এক ধরনের ভালোবাসা জন্ম নিয়েছে মনে। তাকে রেখে চলে গেলে আবার খাবারদাবারও পাবে না।

অবশেষে সিদ্ধান্তে আসি। তাকে ছেড়ে দিবো। তার চলে যাওয়ার সমস্ত পথ নির্মান করে দিলাম। কিন্তু এখন আর সে যেতে চায় না। জানালার কাছে যায় কিন্তু যায় না। অনেকবার জানালার কাছে যায় কিন্তু বের হয়ে যায় না। আমি ত তাকে ছেড়ে দেবার পূর্ন মানসিকতা ফিট করে ফেলেছি।

একসময় সে রুম থেকে বের হয়েই যায়। রুম থেকে বের হয়ে বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছে। বারান্দার গ্রিলে বসে থাকে রুমের দিকে মুখ করে। ভাবটা এমন মিস্টার রেজা এখনো সময় আছে, একবার ভাবুন।

আমি সমস্ত ভাবনা অতিক্রম করে বারান্দার দরজা ক্লোজ করি। বারান্দার দরজা ক্লোজ করার সাথে সাথে তিনিও দিলেন বিরাট এক উড়াল! তার উড়াল দেখে মনে মনে বলতে থাকি my love is enough love to let you enough free

বুধবার, ৫ জুন, ২০১৯

ভাইরাল

সন্তান পৃথিবীতে আসার সাথে সাথে অনেক মাকে ফেইসবুকে আসতে হয়, কারন মায়ের পেট থেকে সন্তানের জন্ম হলেও অনেক মায়ের জন্ম হয় ফেইসবুকের ওয়াল থেকে

শনিবার, ১ জুন, ২০১৯

আগুন হে

দিয়াশলাই নিজে জ্বলার পর জ্বালাতে পারে। আগুন জানে না সে যে আগুন, যেমন জল না যে সে আগুনের জন্য পুলিশ। আগুন ও জলকে জ্ঞান দিয়ে লাভ নেই, দিয়াশলাইকে জ্ঞানস্কুলে পাঠাতে পারেন।

বাদাম বিক্রেতা

বাদাম বিক্রেতা মরুভূমিতে গেছিল, সেখান থেকে ক্যাকটাস গাছ এনে জলাভূমির হাল পাড়ে রোপন করে নিয়মিত জল দিতে থাকলো, তারপর গাছটি মারা গেলো। তারপর বাদাম বিক্রেতা আবার বলতে শুরু করে "বাদাম লাগবো বাদাম, গরম গরম বাদাম"

পুরস্কার

পুরস্কার পেলে অনেকেই প্রেগনেন্ট হয়ে যায়, স্বাভাবিক চলাফেরা করতে তাদের রুচিতে বাধে, শরীরেও বাধে